বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » শিল্প-সাহিত্য » ভারতের জাতীয় গ্রন্থ হতে পারে ‘ভগবৎ গীতা’

ভারতের জাতীয় গ্রন্থ হতে পারে ‘ভগবৎ গীতা’ 

অনলাইন ডেস্কঃ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘ভগবৎ গীতা’ কে ভারতের জাতীয় বই করা হবে। কয়েক মাস আগেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের আগে ও পরের প্রচারণা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করলে দেখা যাবে, এটা যতটা না বিজেপি সরকার তার চেয়েও বেশি মোদি সরকার।ভারতের সাধারণ জনগণ যতটা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তার চেয়েও বেশি দিয়েছেন মোদিকে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশটির শিক্ষাখাতে একের পর এক পরিবর্তন আসছে।সম্প্রতি জানা যায়, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হিসেবে গুজরাটের পাঠ্যবইয়ে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন ‘উড়োজাহাজের gita

আবিষ্কারক রাজা রাম’ এমন বক্তব্যও পাঠ্যপুস্তকে প্রকাশিত হচ্ছে এবং তা শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।তবে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক বক্তব্যে জানান, ভারতের জাতীয় গ্রন্থ হতে পারে ‘ভগবৎ গীতা’। গীতার পাঁচ হাজার ১৫১ বছর পুর্তিতে রাজধানী নয়াদিল্লির রেড ফোর্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন বক্তব্য দেন।অবশ্য ওই একই অনুষ্ঠান থেকে ভিএইচপি প্রেসিডেন্ট অশোক সিংহল জানান, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দুদের জাতীয় চেতনার কর্ণধার গণ্য করে পাঠ্য বইয়ের নাম ঘোষণা করবেন।নিয়মিত গীতা পাঠ করার কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারছেন বলেও জানান সুষমা স্বরাজ। গীতাকে জাতীয় বই করার বিষয়টি তখনই এগিয়ে যায় যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে গীতা উপহার দেন বলেও জানান সুষমা স্বরাজ।‘প্রত্যেকেরই নিয়ম করে প্রতিদিন গীতা থেকে দুটি শ্লোক পড়া উচিত। গীতায় মোট ৭০০টি শ্লোক আছে, যা শেষ করতে এক বছর সময় লাগে। বারংবার পড়তে হবে গীতা।তিন থেকে চারবার পড়ার পর আপনি নিজের জীবন ধারণের পথ পেয়ে যাবেন, যেভাবে আমি আমার পথ পেয়েছি। যখন আমি প্রথম গীতা পড়ি তখন এর ধারণা সম্পর্কে একমত ছিলাম না। কিন্তু যখন আমি তৃতীয় এবং চতুর্থ বারের মতো পড়ি তখন আমি এর মানে বুঝতে পারলাম। আমার জীবন গঠনে গীতা সাহায্য করেছে।’-সুষমা স্বরাজ।অণুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানিয়ে আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, যোগ সাধনা দিবসের মতো এখন জাতিসংঘের উচিত গীতা দিবস ঘোষণা করা।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone