ভ্যাট আদায়ে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ প্রোগ্রাম ফর রেজাল্ট হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন পদ্ধতি। এর মাধ্যমে নিজস্ব আইন অনুসরণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের মালিকানা নিশ্চিত হয়। এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূল্য সংযোজন কর অনুবিভাগের আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ করা হবে।
এ বিষয়ে রবিবার বিশ্বব্যাংক ও সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর সালমান জাঈদী।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, কর্মসূচিটিতে রেজাল্ট অর্জনের জন্য ছয়টি ডিসবাসমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর (ডিএলআইএস) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রোগ্রাম ফর রেজাল্ট পদ্ধতিতে অর্থায়নের কারণে কর্মসূচিটির রেজাল্ট তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই এবং অন্যান্য রিপোটিং কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ কন্ট্রোলার এ্যান্ড অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় রাজস্ববোর্ড কর্মসূচিটি বাস্তবায়নকালীন এ কর্মসূচি সংক্রান্ত অভিযোগসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে জানাতে হবে।
চুক্তি বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম জানান, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সহযোগীতা দিন দিন বাড়াচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম কয়েকমাস চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও ডিসেম্বরে এই ৬ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা) চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করল বিশ্বব্যাংক। জানুয়ারিতে কয়েকটি প্রকল্পে বড় ধরনের ঋণ চুক্তি হবে। এর মাধ্যমে সংস্থাটি থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে বলে তিনি মনে করছেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন সিওটিএস সফটওয়্যারসহ প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ক্রয় করে মূল্য সংযোজন কর বিভাগের সকল কার্যক্রম কম্পিউটারাইজড ও অটোমেশনের মাধ্যমে মূসক আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইন এ সম্পন্ন করা হবে। মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সহজীকরণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের মূসক পরিশোধ সংক্রান্ত কার্যাবলীর ব্যয় হ্রাস ও ব্যবসা বান্ধব করা। মূসক অফিসে না গিয়ে অনলাইনে মূসক এর পরিমাণ নির্ধারণ, পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ সৃষ্টি ও দুর্নীতি হ্রাস করা যাবে। ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা সহজে রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন এবং এতে ইলেকট্রনিক্স ভেরিফিকেশনের সুযোগ থাকায় মূসক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হতে পারবেন।
কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আইডিএ নমনীয় শর্তে এ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। যা দশ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের ক্ষেত্রে কোনো কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে না এবং এ ক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।