বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|সোমবার, মে ৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » Uncategorized » যে কাজ নষ্ট করে দিচ্ছে মস্তিস্কের কাজ করার ক্ষমতা

যে কাজ নষ্ট করে দিচ্ছে মস্তিস্কের কাজ করার ক্ষমতা 

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চালিকাশক্তি আসে মস্তিষ্ক থেকে। আমাদের দেহ পরিচালনার জন্য প্রথম এবং প্রধান কাজ করে আমাদের মস্তিষ্ক। আমাদের এই মস্তিষ্ক ছাড়া আমরা জড় পদার্থ ছাড়া কিছুই নই। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের নিজেদের কিছু কাজ নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের মস্তিস্কের কাজ করার ক্ষমতা। আমরা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি স্মৃতিশক্তি, চিন্তা করার ক্ষমতা ও সেই সাথে আমাদের চলার ক্ষমতা।

brain

১) না ঘুমানোর অভ্যাসঃ কাজের চাপ কিংবা ইচ্ছে করে অনেকেই কম ঘুমিয়ে থাকেন। এতে মস্তিষ্কের মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়ে থাকে। দীর্ঘদিনের এই বাজে অভ্যাসটি মস্তিষ্কের সেল ড্যামেজ করে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক হারায় স্বাভাবিক কর্মদক্ষতা। তাই প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুব জরুরী।

২) সকালের নাস্তাকে অবহেলা করাঃ অনেকেই সকালের নাস্তা করতে চান না। কিন্তু সকালে নাস্তা না করলে দেহে ঘাটতি হয় সুগারের। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছোতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। তাই সকালে নাস্তা করা খুব জরুরী।

৩) চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়াঃ অনেক বেশি চিনি জাতীয় খাবার দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে মস্তিষ্কের জন্য। কারণ অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের প্রোটিন ও পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কমিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের নিউরন ও কোষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এবং মস্তিষ্কের উন্নতি হয় না ও দক্ষতা বাড়ে না। তাই বাচ্চাদের চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে রাখুন।

৪) একবারে বেশি খেয়ে ফেলাঃ অনেকেই সারাদিন খাওয়ার কথা না ভেবে বাসায় ফিরে একবারে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন যা মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হুট করে দেহে সুগার সহ অন্যান্য পুষ্টিউপাদান একবারে বেড়ে যায়। যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরা শক্ত করে ফেলে। ফলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

৫) দূষিত বাতাসে থাকাঃ অনেকে হয়তো বাধ্য হয়ে কিংবা অনেকে কাজের কারণে দূষিত পরিবেশে, দূষিত বাতাসে থাকেন। বিশেষ করে যারা কল-কারখানায় কাজ করে। এটি অনেক বেশি খারাপ মস্তিষ্কের জন্য। দূষিত বাতাস মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছাতে বাঁধা দেয়। ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনে অভাব ঘটে এবং মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে।

৬) ধূমপান ও মদ্যপানঃ ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মস্তিষ্কের শিরাউপশিরা সংকুচিত হয়ে আসে। এতে পুষ্টি, রক্ত, অক্সিজেন ইত্যাদি সঠিকভাবে মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে না। এতে করে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মস্তিষ্ক।

৭) কম কথা বলাঃ অনেকেই কম কথা বলেন এবং বেশি কথা বলা পছন্দ করেন না একেবারেই। কিন্তু এতেও ক্ষতি হয় মস্তিষ্কের। কম কথা বলার অভ্যাসের ফলে মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটে না।

৮) অসুস্থ থাকলেও জোর করে কাজ করাঃ অনেকে বাধ্য হয়ে অসুস্থ থাকলেও জোর করে কাজ করেন। এরকারনে ব্রেইন হ্যামারেজের মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়াও সেন্সলেস হয়ে যাওয়া এবং বুদ্ধিলোপ পাওয়ার মতো অসুবিধাও দেখা দেয়।

৯) চিন্তা না করাঃ অনেকেই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য কোনো ব্যাপারেই চিন্তা করতে চান না। এটিও কিন্তু মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে করে বুদ্ধিমত্তা কমতে থাকে। মস্তিষ্ক ছোটো হয়ে আসতে থাকে।

১০) মাথা ঢেকে ঘুমানোঃ মাথা কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকলে আপনার নিঃশ্বাসের কার্বনডাইঅক্সাইড সরে যেতে পারে না। ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেনের চাইতে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি চলে যায় দেহে। এই অক্সিজেনের অভাব মস্তিষ্কের টিস্যুর স্থায়ী ক্ষতি করে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone