বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » পর্যালোচনা ছাড়া মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না : নাসিম

পর্যালোচনা ছাড়া মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না : নাসিম 

nasim ai

এইদেশ এইসময়, ঢাকা : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রশাসনিকভাবে ইতিপূর্বে নতুন ১২টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে। পর্যালোচনা ছাড়া নতুন কোনো মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন হতে যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ কর্মসূচির আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়েসী পর্যন্ত দেশের পাঁচ কোটি ২০ লাখ শিশুকে হাম ও রুবেলা টিকা দেওয়া হবে। এর আগে এত বেশিসংখ্যক শিশুকে একযোগে একটি কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া এবারই প্রথম ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েশিশু টিকা পাবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হচ্ছে ৫১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন,২০০৬ সালে ক্যাচ আপ ক্যাম্পেইনের আওতায় নয় মাস থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি শিশুকে হামের টিকা দেওয়া হয়। ২০১০ সালে টিকা দেওয়া হয়েছিল এক কোটি ৮০ লাখ শিশুকে।

মন্ত্রী আরো বলেন, হাম একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। যেকোনো বয়সে হাম হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ, জটিলতা ও মৃত্যু বেশি। জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফেলাটিস, অন্ধত্ব, বধিরতা অন্যতম। অন্যদিকে রুবেলাও ভাইরাসজনিত রোগ। গর্ভধারণের তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস আক্রমণ করলে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। শিশুর হৃদযন্ত্রে ছিদ্র হতে পারে, শিশু অন্ধও হতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে দুই হাজার ৯৭৯ জন রুবেলায় আক্রান্ত হয়। রুবেলা নিয়ে কোনো শিশু যাতে জন্ম না নেয়, এ জন্য গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার বিনা মূল্যে রুবেলা টিকা দিতে শুরু করে।

প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপচিালক গণেশ চন্দ্র সরকারসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এবং রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone