বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বহাল

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বহাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায়ে ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।   সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এই বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী

kamaruj   রায় ঘোষণার সময় আদালতে কামারুজ্জামানের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, এহসান সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।   রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আপিলের তৃতীয় চূড়ান্ত রায়।   এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্য কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।   গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাতে আপিলের রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।   এর আগে রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম কুদ্দুস জামান গণমাধ্যমকে কামারুজ্জামানের মামলার রায় আজ সোমবার দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন।   গত ১৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে কামারুজ্জামানের মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।   আপিল শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপন শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালে যে পাঁচটি অভিযোগে কামারুজ্জামান দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, এর প্রতিটি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। এ জন্য আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য।   কামারুজ্জামানের আইনজীবী এস এম শাহজাহান দাবি করেন, নিজেদের আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আসামির খালাসের আরজি জানানো হচ্ছে।   গত ১৮ মে থেকে কামরুজ্জামানের মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিল বিভাগে কামারুজ্জামানের মামলার শুনানির জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। এর আগে কাদের মোল্লা ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেন।   গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান।    আপিলে ২৫৬৪টি মূল ডকুমেন্ট, ১২৪টি গ্রাউন্ডসহ মোট ১০৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে।   গত ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone