বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয়

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সারা দেশের স্পর্শকাতর স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখা হয়েছে সতর্ক অবস্থায়।

বুধবার রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে তৎপর রয়েছে পুলিশ। ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বেশ কিছু চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে অতিরিক্ত টহল পুলিশ। সোয়াত বাহিনীর পাশাপাশি সাদাপোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

police

সরেজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ট্রাইব্যুনালের আশপাশে প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্বর, শিশু একাডেমীসহ সড়কগুলোতে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ভবন থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত একদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় সন্দেহ হলেই সাধারণ যাত্রীদের তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার ভোর থেকে ট্রাইব্যুনালের সবগুলো প্রবেশপথ, আশপাশের সব সড়ক ও পুরো এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। রাত থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পর্যবেক্ষণ করা হবে, কোথাও কোনো নাশকতা চালানো হয় কি না।

রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এলাকাসহ সবখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ফাঁসির রায় হলে হরতালের ঘোষণা আসতে পারে, অরাজকতা হতে পারে, বিক্ষোভ হতে পারে- সবকিছু মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড, রায়ট কার, এপিসি কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।২০১৩ সালের নভেম্বরে মতিউর রহমান নিজামীর মামলার কার্যক্রম শেষ হলে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এরপর তিনবার এ রায় ঘোষণা করার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। চতুর্থবারের মতো বুধবার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone