বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|সোমবার, মে ৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিশেষ সংবাদ » ভর্তিতে পরীক্ষার বিকল্প ভাবা হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে

ভর্তিতে পরীক্ষার বিকল্প ভাবা হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে 

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পরীক্ষার বিকল্প ভাবা হচ্ছে। পরীক্ষা ছাড়াই কিভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যায় তা চিন্তা করা হচ্ছে। আবার পরীক্ষা হলেও তা এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই নেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এনিয়ে নীতি-নির্ধারকরা ভাবতে শুরু করেছেন। সময়, খরচ এবং শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে পরীক্ষার বিকল্প ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

public

শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি করাতে বর্তমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন আছে বলে মনে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবার কথা বলে আসছেন। এর আগেও ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবার বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হলেও স্বায়ত্তশাসিত ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিরোধিতা করে।ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এটি ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের প্রাথমিক পদক্ষেপ বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ভর্তি পরীক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থীরা ঝামেলা এড়ানো ছাড়াও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে।বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার পর উচ্চমূল্যে কোচিং, কোচিং গাইড ক্রয়, ভর্তি ফরম পূরণে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও পরীক্ষার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটাছুটি করতে হয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।পরীক্ষার্থীদের এই কষ্ট লাঘব এবং অর্থ অপচয় রোধে ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, একান্তই যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই নিতে হবে। এতে কোচিং সেন্টারগুলো অর্থের জন্য শিক্ষার্থী ভেড়াতে পারবে না। এতে সময়ও বাঁচবে। ওই পরীক্ষার ভিত্তিতে আগ্রহের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে।এ ব্যাপারে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, কোচিং সেন্টারগুলোকে আর ব্যবসার সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone