বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বুধবার, মে ২২, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » জাতীয় পরিচয়পত্রে শতকরা ১৩ ভাগ ভুল

জাতীয় পরিচয়পত্রে শতকরা ১৩ ভাগ ভুল 

ডেস্ক রিপোর্টঃ   নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যভান্ডারে মোট ভোটারের শতকরা ১৩ ভাগের জাতীয় পরিচয়পত্রেই কোনো না কোনো ভুল অাছে। বর্তমানে ৯ কোটি ২০ লাখ ভোটারের তথ্য ইসির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে ভুলে ভরা জাতীয় পরিচয়পত্রের সংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার। এসব এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ১৮ মাস সময়ের প্রয়োজন। যার জন্য প্রায় ৪৩০ জন লোকবল লাগবে।

vote

জানা গেছে, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৩ বার এ তথ্যভাণ্ডার হালানাগাদ করা হলেও এখনো তা নির্ভুল করতে পারেনি ইসি। ফলে নামের বানান, ঠিকানা অথবা জন্ম তারিখ বা পিতা-মাতার নামের বানানের ভুল সংশোধনের জন্য প্রতিদিনই হাজার মানুষ এনআইডি শাখায় ধর্ণা দিতে আসেন। বর্তমানে মোট ভোটারের ১৩ শতাংশ নাগরিকের তথ্যে কোনো না কোনো ভুল রয়েছে বলে খোদ এনআইডি অনুবিভাগই চিহ্নিত করছে।

এনআইডি প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যখন কেউ আবেদন করেন, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সকল ধরনের তথ্যের প্রমাণপত্র দিতে হয়। তবে আবেদনপত্রে ব্যক্তির উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতেই কম্পিউটার অপারেটর তা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু তারা এসব তথ্য যাচাই করে দেখেন না। ফলে আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া কাগজ-পত্র যাচাই না করার কারণেই ভুলভাবে তথ্য লিপিবদ্ধ হয়। অথচ ডাটা অপারেটরদের কাজই হচ্ছে তথ্য যাচাই-বাছাই করা। সাধারণত অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত নাগরিকের ক্ষেত্রেই ভুলগুলো বেশি হয়। যেহেতু তথ্য যাচাই করার বিধান আইনে আছে, তাই ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হলে তার দায় কমিশনেরই।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone