আ.লীগের দু’গ্রুপ ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলা সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের সাথে জড়িয়ে পরে দুটি গ্রুপ। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ থেমে গেলে আ. লীগ দলীয় কর্মী আরিফ হোসেন ও শাহ আলম নামে দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
নিহত আরিফ হোসেন টিকারী গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। অন্যজনের পরিচয় জানা যায় নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে টিকারী বাজার ও গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিকালে টিকারী বাজারে ফুরসন্দি ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদারের সাথে অপর গ্রুপের নেতা আবদুল মালেকের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় শহিদুল শিকদারের ২ সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে মালেকের কর্মীরা। পরে সন্ধ্যাদিকে টিকারী গ্রামের পুরাতনপাড়া ও বাজারে দু’গ্রুপের নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ ত্রিমুখি সংঘর্ষ চলে।এ সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১০ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও বেশ কয়েকজনকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঐ এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।