বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » কেন অন্তরালে ছিলেন সুচিত্রা!

কেন অন্তরালে ছিলেন সুচিত্রা! 

sen ai

বিনোদন ডেস্ক : বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি এক মানুষ। বাংলা সিনেমার পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেত্রী ছিলেন সুচিত্রা। যার সঙ্গে একটিবার সাক্ষাতের আশায় থাকত হাজারো দর্শক। সেই সুচিত্রাকে তার একান্ত আপনজন ছাড়া গত ৩৫ বছরে দেখার সুযোগ পায়নি আর কেউ। কিন্তু সেই ভুবনমোহিনী রূপালি রাজকন্যা কেন চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে?

এই প্রশ্ন যেন অমিমাংসিত এক মহারহস্যের মতো। এর উত্তর নিয়ে চলেছে হাজারো কল্পনা। কিন্তু সমাধান মেলেনি কোথাও।

পরিবারের সদস্য ছাড়া এই দীর্ঘসময়ে সুচিত্রা সেনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল খুবই অল্প কয়েকজনের। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রবীণ সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়। সংবাদ সংস্থা ইউএনআই-এর এই সাবেক কর্মকর্তা সুচিত্রাকে নিয়ে লিখেছেন চারটি বই। মহানায়িকার জীবনের নানা অজানা অধ্যায়ের তিনি প্রত্যক্ষদর্শী। সম্প্রতি এনডিটিভির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি শুনিয়েছেন সেসব কাহিনি। তার মধ্যে রয়েছে অন্তরালে যাওয়ার আগে সুচিত্রার একটি ঘটনা।

গোপালকৃষ্ণ রায়ের মতে, চিরদিনের জন্য আড়ালে যাওয়া নিয়ে সুচিত্রার সিদ্ধান্তের একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যাও মেলে ওই ঘটনা থেকেই।

১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল সুচিত্রা সেন অভিনীত শেষ সিনেমা ‘প্রণয় পাশা’। সিনেমাটি ব্যবসাসফল না হওয়ায় গভীর হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। তখন তিনি ছুটে যান কলকাতার বাইরে রামকৃষ্ণ মিশনের কেন্দ্রস্থল বেলুড় মঠে। সেখানে তিনি দেখা করেন আধ্যাত্মিক গুরু ভরত মহারাজের সঙ্গে।

গোপাল কৃষ্ণ রায় বলেন, ওই দিন মহারাজের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়েছিলেন তিনি। আমি পরে শুনেছি, পুরো সময় তিনি কেবলই কাঁদছিলেন। মহারাজের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে তিনি জানিয়েছিলেন তার বেদনার কথা। ভরত মহারাজ তখন তাকে বলেছিলেন, ‘মা, লোভ করো না’। আমার মনে হয় শ্রীমতি সেন, মহারাজের ওই কথাকেই তার পরবর্তী জীবনে ধারণ করেছিলেন। আর সে কারণেই খ্যাতির আলো আর বিত্তের হাতছানি থেকে চিরস্থায়ীভাবে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এরপর থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনে আত্মনিয়োগ করেন সুচিত্রা। সিনেমাজগত থেকে অবসরও নেন তিনি ওই সময়ই। আস্তে আস্তে জনসমক্ষে আসা থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। এমনকি, সবার সামনে এসে পুরস্কার গ্রহণ করতে হবে বলে ২০০৫ সালে ভারতীয় সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ সম্মাননা দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও প্রত্যাখান করেছিলেন তিনি।

তবে, একবারই নিজের ওই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছিলেন সুচিত্রা। সেটি ছিল ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই। নিজের সাফল্যের সঙ্গী উত্তম কুমারের শবযাত্রায় শেষবারের মতো সবার সামনে এসেছিলেন তিনি। বেদনাহত হৃদয়ে মহানায়ককে শেষ সম্মান জানিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone