বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » রোববার পর্যন্ত স্থগিদ খালেদার আপিল শুনানি

রোববার পর্যন্ত স্থগিদ খালেদার আপিল শুনানি 

 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অভিযোগ গঠন এবং বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার দায়ের করা আপিল শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিদ করা হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার আপিল শুনানি করেন এড. জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।আজ দুই আপিলের শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কায্য তালিকার ২৯ ও ৩০ নম্বরে ছিল। তবে এর আগে গত কাল বুধবার দুপুরে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিষেশ আদালতে বেগম খালেদা জিয়া হাজিরা দেন। ওই মামলার সাক্ষী গ্রণের জন্য আগামী ১০সেপ্টেম্বর দিন ধায্য করা হয়।গত ২১ জুলাই দুই মামলার শুনানিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২৪ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন  ঠিক করেন। কিন্তু পরবর্তীতে এই আবেদন দুটির উপর ওইদিনও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

khlada

দীর্ঘ একমাসের উপরে সুপ্রিমকোর্টের অবকাশ থাকার পরে এই বিষয়ে শুনানির জন্য গত ১ সেপ্টম্বর প্রথম কায্য তালিকায় আসলেও মামলার উপরে শুনানি হয়নি। এর পরে আজও মামলাটি আপিল বিভাগের কায্য তালিকায় রয়েছে।

গত ২১ জুলাই আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী। উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম।

এর আগে গত ১৩ জুলাই খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে দুটি আবেদনের ওপর ২৪ জুলাই এবং বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য আজ ২১ জুলাই  ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ৭ জুলাই খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দুটি দায়ের করেন।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয়।

এদিকে ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৯ জুন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে তা খারিজ করে দিয়ে আদেশ দেয়।

এর আগে গত ২৫ মে খালেদা জিয়ার এ রিট আবেদনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব বিচারিক আদালতে মামলা দু’টির কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন ও পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে মামলা দু’টির অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসু দেব রায়ের নিয়োগকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ খালেদা জিয়ার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয়ায় প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে কাজী রেজা উল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করেন রিট দুটির নিষ্পত্তি করতে।

গত ১২ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট বিবেচনাধীন থাকা পর্যন্ত মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়।

গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone