বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » হাবিবের নতুন জগৎ

হাবিবের নতুন জগৎ 

habib ai

বিনোদন ডেস্ক : হাবিব তাঁর নিজের জন্য একটা জগৎ তৈরি করেছেন। হাবিবের ভাষায়, ‘এটা আমার জগৎ। আমারই একটা প্রতিচ্ছবি। এখানে আমি কাজ করি। সময় কাটাই। ছবি দেখি। ভিডিও গেম খেলি। বন্ধুরা আসে, আড্ডা দিই। একটা বড় সময় এখানেই থাকি।’
হাবিব তাঁর এই জগৎ গড়েছেন রাজধানীর গ্রিন রোডে। অনেক দিন আগে এখানে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তিনি। গত বছর বেশ সময় নিয়ে মনের মতো করে নিজের এই জগৎ সাজিয়েছেন।
কী আছে এখানে? অনেক কিছু—বড় স্টুডিও, প্র্যাকটিস প্যাড, ড্রয়িং রুম, রান্নাঘর, ওয়েটিং রুম। কোথাও খুব বেশি আলো নেই। কিন্তু যতটুকু আছে, তাতে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয়েছে ফ্ল্যাটজুড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় হাবিব তাঁর এই জগৎ ঘুরে ঘুরে দেখালেন। এ সময় তাঁর মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। বসলেন বসার ঘরে। শুরু হলো আড্ডা।
‘এমন একটা জগন স্বপ্ন দেখেছি অনেক দিন থেকে। কিন্তু কবে করব, কোথায় করব আর খরচ? তার তো কোনো হিসাব নেই।’ বললেন হাবিব।
১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত হাবিব ছিলেন পূর্ব লন্ডনে। ওখানে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। সেখানেও ঠিক এমনই এক জগৎ তৈরি করেছিলেন। হাবিব বলেন, ‘ওই সময়টাতে আমি কাজ শুরু করেছিলাম। শুরুর দিনগুলোর কথা কখনোই ভুলতে চাই না।’
গত বছরের অনেকটা সময় তিনি ব্যয় করেছেন এখানে। এ সময় তেমন কোনো কাজ করতে পারেননি। হাবিব বলেন, ‘আসলে কাজ করতে পারিনি আরও একটা কারণে। আলিম সাহেবের জন্য। আমার ছেলে। ডিসেম্বর মাসে ওর এক বছর পূর্ণ হলো। আলিমের মধ্যে অন্য রকম একটা ব্যাপার আছে। যেখানেই যাই, যা কিছু করি; দ্রুত ওর কাছে ফিরে আসি।’
ছেলের মুখে আব্বা ডাক হাবিবের কাছে দারুণ লাগে। হাবিব বলেন, ‘আমি আব্বু-আম্মু বলি। কিন্তু আলিম কোথা থেকে আব্বা ডাক পেয়েছে, জানি না।’
হাবিব ছেলেকে নিয়ে প্রথম বিদেশভ্রমণে যান গত বছরের গোড়ার দিকে। হাবিব বলেন, ‘আলিমের তখন তিন মাস বয়স, সুইজারল্যান্ডে গান গাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। রেহান (হাবিবের স্ত্রী) আর আলিমকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা ফ্রান্স আর সুইডেনে বেড়াতে যাই।’
কথা হচ্ছে হাবিবের সঙ্গে। সেখানে গানের প্রসঙ্গ তো থাকতেই হবে। না, হাবিবের মুখে এখন কোনো গান নেই। গান নিয়ে তাঁর মনে তৈরি হয়েছে হতাশা। বললেন, ‘নতুন কোনো গান করতে পারছি না। যখনই ভাবি অ্যালবাম করব, তখনই প্রশ্ন আসে, রিলিজ করবে কে? এখন তো অডিও সিডি নেই বললেই চলে। প্রায় সবাই এখন মুঠোফোনে গান শোনে। আগে একটা অ্যালবামের প্রকাশনা মানে ছিল উৎসব। এখন আতঙ্ক! সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে। হয়তো এই চিত্রটাও পাল্টাবে। তত দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
হাবিব জানান, প্রায় প্রতিদিনই তিনি খেলাধুলা করেন। তাঁদের পৈতৃক বাসাটি ধানমন্ডির ৭ নম্বর সড়কে। সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট হবে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হচ্ছে না। তাই জায়গাটিকে তাঁরা খেলার উপযুক্ত করেছেন। সেখানে ফুটবল, ক্রিকেট আর বাস্কেটবল খেলেন। হাবিবের সঙ্গে এসে যোগ দেন তাঁর কয়েকজন বন্ধু। আর খেলা শুরু হয় রাত আটটায়।
হাবিব কি এখন খেলতে যাবেন? জানান, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। আবার ওদিকে মন পড়ে আছে আলিমের কাছে।
হাবিব ছেলেকে গান শোনান? হাবিব বললেন, ‘এখনো শোনাতে পারিনি। ওকে খাবার খাওয়ানোর সময় ইউটিউব থেকে গান বাজানো হয়। তা না হলে যে কী হতো, ভাবতেই পারি না।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone