বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিবিধ » স্ত্রী কামড়ে ধরলেন স্বামীর পুরুষাঙ্গ

স্ত্রী কামড়ে ধরলেন স্বামীর পুরুষাঙ্গ 

oparation

অনলাইন ডেস্কঃ  হেঁশেলে ঢুকে হাতা খুন্তি নাড়ছেন স্বামী। এটি তার স্ত্রীর পছন্দ হচ্ছিল না। তাকে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। কিন্তু স্বামী নাছোড়বান্দা। এ oparationনিয়ে দুজনার তুমুল ঝগড়া। একপর্যায়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গে দাঁত বসিয়ে দেন স্ত্রী। বেচারার এখন যাতা অবস্থা।

গত ৩ জুলাই মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার পাগরা গ্রামে এ অদ্ভূত ঘটনাটি ঘটেছিল। অতি সম্প্রতি তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ জুলাই সকালে জিতেন্দ্র প্যাটেল (৩০) তার স্ত্রী উমা প্যাটেলের (২৭)কাছে নাস্তা চান। কিন্তু উমা এতে গা করেননি। জিতেন্দ্র তখন রাগ করে রান্নাঘরে ঢুকে নিজেই রান্না করতে শুরু করেন। এতে ক্ষেপে যান উমা। তিনি হাতের কাছের কাছে যা পান তা দিয়েই জিতেন্দ্রকে আঘাত করতে থাকেন। দুজনের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে জিতেন্দ্রর গা থেকে খসে পড়ে তোয়ালে। তখন স্বামীর পুরুষাঙ্গ কামড়ে ধরেন উমা। কোনোরকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে ছুটে যান জিতেন্দ্র। এ ঘটনায় গত ৫ মে উমাকে আটক করে পুলিশ।

পরে অবশ্য পুলিশের মধ্যস্থতায় দুজনের বিরোধ মিটে যায় এবং তারা আবার একসঙ্গে থাকতে রাজি হন। পুলিশও উমাকে ছেড়ে দেন।

কিন্তু বিপত্তিটা শুরু হয় তখনই, যখন জিতেন্দ্রর যৌনাঙ্গে ইনফেকশন দেখা দেয় এবং পুঁজ পড়তে থাকে। কিন্ত ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে এই ভয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার বদলে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন জিতেন্দ্র। গোপনাঙ্গের ক্ষতের ওপর  চালাতে থাকেন  নানা ভেষজ চিকিৎসা। এতে তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। গ্রামের কিছু লোকজনও তাকে ভয় দেখাতে শুরু করে। এক বৃদ্ধ তাকে বলেন, ‘তোমার বৌ হল বিষনারী। ওর দাঁতে গোখরার বিষ আছে। তুমি যদি ডাক্তার না দেখাও তাহলে ওই বিষ তোমার সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে।’ এ কথা শোনার পর হাসপাতালে ছুটে যান জিতেন্দ্র। চিকিৎসকের পরামর্শে শেষমেষ হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার তার পুরুষাঙ্গের ক্ষতে অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল।

এদিকে এ ঘটনায় জিতেন্দ্র ও উমার সংসারে নতুন করে অশান্তি দেখা দিয়েছে। উমার বিরুদ্ধে ‘হত্যা প্রচেষ্টাসহ’ নতুন আরো অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে পুলিশ।  ২০১০ সালে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই দম্পতি।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone