বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ‘আ.লীগ নেতার ছেলেকে’ গুলি করে হত্যা

‘আ.লীগ নেতার ছেলেকে’ গুলি করে হত্যা 

image_85330

এইদেশ এইসময়, ঢাকা : রাজধানীর ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের পাশে কাজী সাদবিন হোসেন সানি (২৫) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের এক স্বজন সানিকে ‘ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক’ কাজী শওকত হোসেনের ছেলে বলে দাবি করেছেন।

সোমবার গভীর রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাদবিন হোসেন সানি একটি টেক্সটাইল মিলের কর্মকর্তা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি পড়ালেখা শেষ করেছেন। সানি ৯৮ গ্রীনরোডে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।

ধানমণ্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে সন্ত্রাসীরা ল্যাবএইডের পাশের একটি চায়ের দোকানের সামনে সানিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ সানির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের বুকে এবং পেটের বাম পাশে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান  শরিফুল।

নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে সানির খালু ডা. মো. শহিদুল আলম খানকে মেরে ফেলার হুমকির খবর পেয়ে তিনি খালুর বাসায় যান। পরে রাতেই খালুর বাসা থেকে ফেরার পথে ল্যাবএইডের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এমন সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ল্যাবএইডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানির খালাতো ভাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঠিক কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। রাতে সানির মোবাইল থেকে ওর মায়ের মোবাইলে ফোন আসে। ওই ফোনেই আমরা জানতে পারি যে সানি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

নিহতের এই স্বজনই দাবি করেছেন, ‘সানি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কাজী শওকত হোসেনের ছেলে’।

তবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কে- এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি খোদ দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহিদুল হক মিলন। এ দুই নেতা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দেন।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এসব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’

ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটা মামলা দায়ের হয়েছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone