বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » প্রযুক্তি » শনির চাঁদে লুকিয়ে মহাসমুদ্র

শনির চাঁদে লুকিয়ে মহাসমুদ্র 

image_84869

অনলাইন ডেস্ক : শনির ষষ্ঠ বরফাবৃত উপগ্রহ এনসেলাডাসের অভ্যন্তরে বিশাল এক মহাসাগরের সন্ধান পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ফলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের প্রবল সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করছেন তারা।

এনসেলাডাসের অভ্যন্তরে জলের আভাস প্রথমবার পাওয়া গিয়েছিল ২০০৫ সালে। তারপর থেকেই চলছিল গবেষণা। অবশেষে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন এনসেলাডাসের মহাসাগর সম্পর্কে। সম্প্রতি ‘জার্নাল সায়েন্স’ ম্যাগাজিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শনির ষষ্ঠ বৃহত্তম উপগ্রহ হচ্ছে এনসেলাডাস। নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান এবং ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় যে ফলাফল উঠে এসেছে তাতে  দেখা যাচেছ, এনসেলাডাসের বরফের পুরু চাদরের গভীরে মহাসাগরটির গভীরতা কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার। যার উপরিতলের ক্ষেত্রফল উত্তর আমেরিকার লেক সুপিরিয়রের চেয়েও বেশ কিছুটা বেশি।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৩০-৪০ কিলোমিটার পুরু বরফে ঢাকা এই মহাসাগর। পৃথিবীর মতো ওখানেরর সাগরের জলের স্বাদও নোনতাই। এনসেলাডাসের মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র নিয়ে যে ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই সব তথ্য।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ডেভিড স্টিভেনসন বলেন, ‘২০০৪ সালের জুলাইয়ে ক্যাসিনি নামের মহাকাশযানটি প্রথমবার পা রাখে শনির ৫০০ কিলোমিটার ব্যাসবিশিষ্ট উপগ্রহ এনসেলাডাসে। তখন থেকেই শুরু হয় গবেষণা। উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুর বরফের ফাটল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে আসার কারণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য মেলে তখন। সেই সময়ই আভাস মিলেছিল, এনসেলাডাসের অভ্যন্তরেও হয়তো জলই আছে তরলাকারে।’ এখন শনির অন্য উপগ্রহগুলিতেও জলের খোঁজ মিলতে পারে বলে আশা জেগেছে বিজ্ঞানীদের।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone