বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » খেলা » মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশের শুভসূচনা আফগানদের উড়িয়ে

মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশের শুভসূচনা আফগানদের উড়িয়ে 

বলে-ব্যাটে অপ্রতিরোধ্য মিরাজ।  ছবি : সংগৃহীত

অসহায় ছিল আফগানিস্তান, কৃপণ বোলিংয়ে ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে ৫৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস; মেহেদী হাসান মিরাজের এমন দুর্দমনীয় পারফরম্যান্সে। তার এমন পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই  ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ জয় তুলে নিয়েছে। টাইগাররা  নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে এমন বড় জয়ে রান রেটও বাড়িয়ে নিল।

২০১৫ সালে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১০৫ রানের জয় তুলে নিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপে জয় ৬২ রানের। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপেও ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে টানা তিন বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের কীর্তি গড়ল টাইগাররা।

১৫৭ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ২ ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর ২৭ রানে ফেরেন লিটন দাস। এরপর জুটি বাধেন একসঙ্গে বেড়ে ওঠা শান্ত ও মিরাজ। রানের চাকা সচল রেখে ৯৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ১২৪ রানের মাথায় মিরাজ ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর মাঠে নামেন সাকিব। জয় থেকে যখন ১১ রান দূরে অর্থাৎ ১৪৬ রানের মাথায় আজমাতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে ফেরেন সাকিব। তবে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন শান্ত।

বাংলাদেশের বোলাররা ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের এরপর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেননি। ১২২ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট পূরণ করেন সাকিব। রশিদ খান যখন উইকেটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার মিরাজের আঘাত। সরাসরি বোল্ড করেন রশিদকে। দলের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ করতেই দারুণ গতিতে রান তুলতে থাকা আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানরা আর কোনো রানই করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত  ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭৬ বল বাকি থাকতেই।

অধিনায়ক সাকিব ৮ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। রান দেয়ার ক্ষেত্রে সাকিবের চেয়েও কৃপণ ছিলেন মিরাজ। ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন মূল্যবান ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone