৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার চায় ইসি,
এই দেশ এই সময়, ঢাকা : আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের জন্য সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার চেয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ চিঠি স্বশস্ত্র বাহিনী বরাবর পাঠানো হয়।
এদিকে নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি হিসেবে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে। আজ (শুক্রবার) এ ব্যালট সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। ১৪৬ আসনের জন্য ব্যালট পেপার মুদ্রণ করা হয়েছে চার কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪১টি। ৫৯ জেলায় এসব ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বিজিবি ও র্যাবের সহায়তায়। নির্বাচন কমিশেনর সহকারি সচিব মো. আশফাকুর রহমান এই দেশ এই সময়কে, বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা গেছে, সামরিক বিমান এবং হেলিকপ্টার ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হবে।
সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের সব জায়গায় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পাঠাতে সমস্যা হতে পারে, এজন্য এসব সরঞ্জাম ও লোকবল পাঠাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার প্রয়োজন হতে পারে বলে চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনী কাজ তদারকি করতে নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনাররা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। বিগত সব নির্বাচনে কমিশনাররা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এবারেও তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করবেন। তাই অন্যান্য বারের মতো হেলিকপ্টার প্রয়োজন হবে।
নির্বাচনী কার্যপত্রে বলা হয়েছে, পার্বত্য, দুর্গম, দ্বীপ অঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার ভোটকেন্দ্র সমুহের নির্বচনী কর্মকর্তাদের গমনের জন্য এবং নির্বাচনী দ্রব্যদি পাঠাতে হেলিকপ্টার প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের পূর্ব থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত হেলিকপ্টার সার্ভিস দিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য তিনটি জেলার ৩৩টি ভোট কেন্দ্র দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত হওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মে সেখানে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সরঞ্জাম পাঠানো সম্ভব নয়। এজন্যও হেলিকপ্টার প্রয়োজন।