বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » চট্টগ্রামে রেলের জমিতে শপিংমল নির্মাণের চুক্তি

চট্টগ্রামে রেলের জমিতে শপিংমল নির্মাণের চুক্তি 

162146271263760_934896527401941_7321997682770575977_n

সরকারি -বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের নিকট শপিং মলসহ হোটেল- কাম -গেস্ট হাউজ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে রেলভবনে আজ মঙ্গলবার এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ফোকাল পার্সন মোঃ আহসান জাবির। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনোয়ার হোসেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুটির চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো।

রেলওয়ের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে রেলপথমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী রেল খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারা দেশকে ব্রডগেজ এ রুপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর উপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রয়োজন। যে দেশ যত উন্নত, তার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তত উন্নত। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে শপিংমল করা হয়। আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থাকেও একইভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক জমি আছে স্টেশনগুলোর পাশে। শপিং মল করে সেখান থেকে অর্জিত আয় দিয়ে আমরা একসময় রেলওয়েকে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থা ও লাভজনক করতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন রোড সংলগ্ন জায়গায় ডিজাইন বিল্ড ফাইন্যান্স অপারেট এন্ড ট্রানস্ফার পদ্ধতিতে প্রায় ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হলো। এখানে হোটেল, শপিং মল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এটি সম্ভাব্য ব্যয় ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকাল সহ ৪০ বছর পরে স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। প্রকল্পের সব ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone