বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি বাড়াতে চায় সরকার : তোফায়েল

ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি বাড়াতে চায় সরকার : তোফায়েল 

tofayal_ahmed_awamileg_37425

এইদেশ এইসময়, ঢাকা : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারতকে করিডোর বা ট্রানজিট দেওয়ার বিষয়ে এখনি কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার। তবে ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ ও উন্নতি করতে হবে। আমদানি-রফতানি বাড়াতে কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সরকার এ লক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকায় কাস্টমস হাউজ স্থাপন করবে। স্থল বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করবে। এছাড়া ভারতে চেন্নাই এবং গোহাটিতে দুটি উপ-হাইকমিশন করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভারত বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, কানেক্টিভিটি ট্রানজিট বা করিডোর যেটাই বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল দু’দেশের কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানোর বিষয়ে। তিনি বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের করিডোর ব্যবহারের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে চায় সরকার। কারণ এটা বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। করিডোর দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি আমাদের দরজা বন্ধ করে দেই, তা হলে অন্য দেশের দরজা খুলে যাবে। দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে আমাদের দরজা খুলে দিতে হবে। তবে তা অবশ্যই আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে সস্তায় পণ্য আমদানি করা যায়। পণ্য আমদানি বাড়াতে স্থল বন্দর সংস্কার ও নৌ-পথ ড্রেজিং করতে হবে।

ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারত যেতে ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এটা সহজ করার বিষয় নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এর উন্নতি হবে। তবে ভিসার সুযোগ নিয়ে যাতে করে জঙ্গিবাদরা মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone