বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » ৫ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন ডিপজল, দেবেন আরো

৫ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন ডিপজল, দেবেন আরো 

160843217925416_210457767751284_701432558077564285_n

করোনায় বিপর্যস্ত দেশে মানুষের পাশে দেশের মিডিয়ার প্রভাবশালীরা অনেকে দূরে থাকলেও এগিয়ে ছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রশিল্পীদের পাশে। দেড় বছর ধরে চলা করোনার তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ে পড়েছে। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চলচ্চিত্র শিল্প ইন্ডাস্ট্রি।

ঠিক এই সময়ে এগিয়ে এসেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ব্যানারে অসহায় শিল্পীদের জন্য জায়েদ খান নিরন্তর পরিশ্রম করে সহায়তা তুলে দিয়েছেন। ধাপে ধাপে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে দেড় বছর ধরে। এর মধ্যে ঈদে বাড়তি সহায়তাও করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির এই ফান্ডে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন ডিপজল। ফলে অসহায় শিল্পীরা ডিপজলের বিষয়ে বেশ ইতিবাচক।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সঙ্গে। কী পরিমাণ সহায়তা করেছেন, কাদের সহায়তা করেছেন- ‘বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ডিপজল কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘আমি যেসব মাইনষের লগে চলাফেরি করি তাগো লিগা কিছু করুম না এইটা তো হইতে পারে না। এই করোনার টাইমে অরা বিপদে পড়ছে, আমগো চলচ্চিত্রের মাইনষে বিপদে পড়ছে। আমি চেষ্টা কইরা যাইতাছি তাগো পাশে থাকনের।’

ঢাকাই ছবির এই অভিনেতা বলেন, ‘এই পর্যন্ত আমি পাঁচ কোটি টেকার ত্রাণ দিছি বিভিন্ন জায়গায়। মানে এফডিসিতে দিছি। সাভারে দিছি। মিরপুরে দিছি, সবাই জানে তো। আমি তো চেষ্টা কইরা যাইতাছি। এই টেকার অঙ্কে আসলে কইবার মন চায় না। কারণ আমার কাছে মনে হয় এইটা তেমন কিছু না। আমি আরো ত্রাণ দিমু, সেইটার প্রস্তুতি নিতাছি। আমি চেষ্টা করতাছি আপনারা আমার লিগা দোয়া কইরেন।’

গত বছর এফডিসিতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ডিপজল বলেছিলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে তো অল্প কয়েকজন মানুষ, ৩০০-৪০০ হইবো। ওইটা কোনো সমস্যা না। শিল্পী গো লিগা সমস্যা হইবো না। তয় আমি আমার এলাকায় যতটুক পারছি দিছি। এহন তো দুর্যোগ তেমন নাই। আবার মানুষজন বিপদে পড়লে আমি হেল্প করমু।

ডিপজল ধাপে ধাপে সাভার ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। যেমন মিরপুর, গাবতলী এলাকার (ঢাকা উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড) দেড় হাজার পরিবারকে। কার্যত লকডাউনের সময় প্রতিটি পরিবারকে ছয় দফা সহায়তা করেছেন। যার প্রতিটি দফায় পাঁচ কেজি চাল, ডাল, লবণ ও আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে নতুন করে শুরু ফের সহায়তা শুরু করেন। একইভাবে প্রথম দফায় দেড় হাজার পরিবারকে সহায়তা দিয়েছেন সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায়।

ডিপজল প্রথম দফা সহায়তার সময় কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘আসলে ভাই আমি তো শুধু চলচ্চিত্রের মানুষের কথা ভাবতাছি আর অন্য মানুষের কথা ভাবতাছি না, এমুন তো না। আমি আমার এলাকার মানুষজনের পাশে সব সময় ছিলাম, আছি। দ্যাশের মানুষ আমারে অভিনেতা হিসাবে চিনে, কিন্তু আমি তৈ জনগণের প্রতিনিধি আছিলাম। তাগো লিগা তো আমার কর্তব্য আছে। সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায় আমার শুটিং স্পট আছে। তার আশেপাশে খুব বেশি মানুষ নাই। আমি দেড় হাজারের মতো পরিবার পাইছি। তাগো লিগা আমি বিভিন্ন সময় প্রয়োজনমতো চাউল ডাউল পাডাইছি।’

১৫ জুন, ১৯৫৮ সালে ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে তার।  তিনি ফাহিম শুটিং স্পট, এশিয়া সিনেমা হল, পর্বত সিনেমা হল, জোবেদা ফিল্মস, পর্বত পিকচার্স-২, ডিপজল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সক্রিয়। প্রথমে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও চাচ্চু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি ভালো চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এ ছাড়া মা-বাবাকে হারানোর বেদনা থেকে তিনি একটি বৃদ্ধাশ্রমও গড়ে তুলেছেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone