বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » ওরাল বা মুখের ক্যান্সার

ওরাল বা মুখের ক্যান্সার 

সাধারণত মুখের অভ্যন্তরে যে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাকে ওরাল ক্যান্সার বলা হয়। ঠোঁট, জিহ্বা, মুখের ভেতরের ওপর বা নীচের অংশে ওরাল ক্যান্সার হতে পারে। তবে নিচের ঠোঁটে ওরাল ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি। ওরাল ক্যান্সার বর্তমানে ছড়িয়ে পড়ছে। একসময় এই রোগ পরিচিত ছিল না। বর্তমানে  দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং শ্রীলংকার অন্যতম প্রধান সমস্যা এটি। এর মূল কারণ এসব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, অভিরুচি, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ব্যক্তি বিশেষে বদঅভ্যাস। যেমন- সুপারি-জর্দা চিবানো, তামাক ও অ্যালকোহলের ব্যবহার। ওরাল ক্যান্সার মূলত জিহ্বা, মুখ, মুখের পেছনে গলা ও ঠোঁটের স্কোয়ামাশ টিস্যুতে হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ওরাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ।

 

ওরাল ক্যান্সার কেন হয় 

* বেশিমাত্রায় অ্যালকোহল পান।

* পান, সুপারি, গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অন্যান্য তামাক বা তামাকজাত পণ্য গ্রহণ।

* ঠোঁট বা মুখে দীর্ঘদিনের ঘা।

* হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)। নির্দিষ্ট এইচপিভি স্ট্রেনগুলো স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমার (এসিসি) জন্য দায়ী।

* সূর্যের আলোতে অতিরিক্ত অবস্থান, বিশেষত অল্প বয়সে।

* বংশগত কারণ।

 

কী করবেন

* তামাক, তামাকজাত পণ্য ও অ্যালকোহল সেবন পুরোপুরি বাদ দেওয়া।

* দাঁতের নিয়মিত যত্ন নেওয়া। মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখা শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি।

* সূর্যের আলোতে সরাসরি অবস্থান না করা।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি ও ফল থাকা উচিত। সবুজ-লাল-হলুদ-বেগুনিসহ নানা রঙের সবজি ও ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone