বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » আমের উপকারিতা

আমের উপকারিতা 

আম আমাদের সবার পছন্দের একটা ফল। আমের স্বাদ,গন্ধ বা জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার আর কিছু নেই। দেশের মানুষ সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে গ্রীষ্মকালের জন্য। সুধু স্বাদ বা গন্ধই না, ফলের রাজার রয়েছে অনেক উপকারিতা। এই গ্রীষ্মের আমও ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। তবে আম খাওয়ার আগে আসুন জেনে নেয়া যাক আমের কিছু উপকারিতা।

আমের পুষ্টিগুণ : বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণে ভরপুর আমের পুষ্টউপাদান অতুলনীয়। এতে আছে ভিটামিন সি, এ এবং বি-৬। পটাশিয়াম, কপার ও অ্যামাইনো এসিডেরও প্রাচুর্য্য রয়েছে আমে। আমে আরও রয়েছে লিশিয়েন জিলাইক এসিড, বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ক্যাফিক এসিড ইত্যাদি। আর এইসব উপাদান দেহের জন্য প্রচন্ড উপকারী।

 

নানান জাতের আম : পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রকারের আম পাওয়া যায়। প্রতিটাই স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয়। এর মাঝে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য প্রজাতি গুলো হচ্ছে,  হিমসাগর, আম্রপালি, আলফানসো, বারোমাসি, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, অরুনা ,মল্লিকা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, খিরসা, ফজলি, ল্যাংড়া, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, গোপাল খাস,সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, অরুনা, সুবর্ণরেখা, গোপালভোগ,  কেন্ট, কালীভোগ, কাচামিঠা ইত্যাদি।

ফলের রাজার যত স্বাস্থ্যগুণ:-

ত্বক সুন্দর রাখে :আম খেলে বা ত্বকের উপর ব্যবহার, দুইটাই ত্বকের জন্য উপকারী। আম আমাদের ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ খুলে দিয়ে ব্রণ থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।

হৃদরোগের মহঔষধ : ইদানীং আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি ও এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে পরিমাণ মত আম আপনাকে মুক্তি দিতে পারে এই ঝুঁকি থেকে। আমের বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ আপনাকে রাখবে হৃদরোগমুক্ত।

চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। এক কাপ আমে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিনের এ এর চাহিদার ২৫% ভিটামিন এ থাকে। নিয়মিত আম খেলে এটি আমাদের রাতকাণা রোগ ও শুষ্ক চোখের সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।

মিনারেলের অভাব পূরণ : শরীরে মিনারেলের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে নানান রোগ। তবে আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়া ও কপার। যে কোনো ভারি কাজের পর আম খেলে দূর হবে এইসকল খনিজের ঘাটতি। 

আম বাড়াবে স্মরণশক্তি : আমে রয়েছে গ্লুটামিক অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত করে থাকে। যা মনযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। তাই শিশুদের খেতে দিতে হবে আম। মস্তিষ্কের চাপ বা মানসিক চাপ কমাতেও আম খাওয়া যেতে পারে।

কোলেস্ট্রেলরের মাত্রা কমায় : আমে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পেক্টিন এবং ভিটামিন সি আছে। এইসব উপাদান শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

কমায় সর্দি-ঠান্ডা : আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং ডি। এবং এই দুটি ভিটামিনই ঠান্ডার সমস্যার বিরুদ্ধে বিশাল কার্যকর। তাই ঠান্ডা বা সর্দি দেখা দিলে খেতে পারেন আম। এটি আপনার সুস্থ হয়ে ওঠাকে ত্বরান্বিত করবে।

প্রচণ্ডে গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে আম খান : প্রচণ্ড গরমে কাঁচা আমের জুস আমাদের শরীরকে প্রশান্ত অ ঠাণ্ডা করে। প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে অধিক পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায় এবং টক্সিক পদার্থের মাত্রা বেড়ে যায়। গরমের সময় আমের জুস শরীরের পানি শুন্যতা যেমিওন দূর করে তেমনি ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় : আমে প্রচুর ভিটামিন সি, এ এবং প্রায় ২৫ রকমের ক্যারটিনয়েড আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের সাস্থবান বানায়।

আম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন : উপকারী ফল হলেও খুব বেশি পরিমাণে একসঙ্গে খাওয়া ঠিক না। পাকা আমে চিনির পরিমাণ থাকে বেশি যা ডায়বিটিস রোগির জন্য হতে পারে সমস্যার কারণ। আমে ফাইবারের উপস্থিতিও থাকে। তাই বেশি আম খেলে বদহজমও হতে পারে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone