বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » আজ পপগুরু আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ পপগুরু আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী 

বাংলাদেশের সংগীতজগতে পপগুরু বা পপসম্রাট খ্যাত আজম খানের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের আজকের দিনে (৫ জুন) রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মুক্তিযোদ্ধা ও বহু গুণের অধিকারী কিংবদন্তি এই সংগীত তারকা। ১৯৫০ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবার নাম আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। তার শৈশবের পাঁচ বছর কাটে আজিমপুর কলোনিতে। তারা ৪ ভাই ও এক বোন ছিলেন। আজম খানের সংগীতজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ষাট দশকের শুরুতে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর ১৯৭২ সালে তিনি তাঁর বন্ধুদের নিয়ে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড গঠন করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে একটি গান বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের হৃদয় জয় করে নেয়, সেটি হচ্ছে আজম খানের গাওয়া গান ‘হায় রে বাংলাদেশ’।তবে আজম খান জীবনের প্রথম কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন মধুমিতা সিনেমা হলে। শো চলাকালীন দেখলাম ওরা চারটি গানই পর পর গাইছে। মানুষের কোনো ক্লান্তি নেই। তারা একই গান বার বার শুনছে। রাত ৯টা বাজার পর আজম বলল, ‘আমাদের কাছে আর গান নেই।’ শো চলাকালীন আমি লক্ষ করেছিলাম মানুষ প্রচুর নাচানাচি করেছে। আমি তখনই বুঝতে পেয়েছিলাম গানগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পাবে। এই কথা আজমকেও আমি বলেছিলাম।” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ঢাকায় বেশ কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে আজম খানের নতুন ঘরানার সংগীত তরুণ প্রজন্মের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তাঁকে বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের বিকাশের পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজম খান একাধারে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী, গিটারিস্ট ও গীতিকার। ১৯৮২ সালে প্রকাশ হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘এক জনম’। তিনি একে একে ১৬৮টি একক গান ৩০টি মিক্সস গানসহ ১৪টি অ্যালবামের মাধ্যমে শ্রোতাদের অসংখ্যা জনপ্রিয় গান উপহার দেন। পপসম্রাট আজম খানের বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘কেন মন কাঁদে রে’, ‘জীবনে কিছু পাব নারে’, ‘জীবনে মরণ কেন আসে’সহ আরও অনেক গান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৬১ বছর। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ঘুমিয়ে আছেন সবার প্রিয় এই মানুষটি।

 

 

 

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone