উইন্ডিজের প্রয়োজন ৩৪১ রান, শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেট
অ্যান্টিগা টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিনে আরো ৩৪১ রান করতে হবে স্বাগতিক উইন্ডিজকে। আর শ্রীলঙ্কার দরকার ৯ উইকেট। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা পাথুম নিশাঙ্কার সেঞ্চুরি, নিরোশান ডিকাভেলার ৯৬ ও ওশাদা ফার্নান্দোর ৯১ রানের সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ফলে উইন্ডিজের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭৫ রানের। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেটে ৩৪ রান করেছে উইন্ডিজ।
তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৫৫ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৪৬ ও নিশাঙ্কা ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ রান যোগ করে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে আউট হন ডি সিলভা। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ১৪০ বলে ৭০ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে ভালো অবস্থায় যাওয়ার পথ তৈরি করেন। এরপর উইকেটে নিশাঙ্কার সঙ্গী হন ডিকাভেলা। উইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৩২৩ বলে ১৭৯ রান যোগ করেন নিশাঙ্কা ও ডিকাভেলা। এর মধ্যে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকানো নিশাঙ্কা ২৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন।
নিশাঙ্কাকে আউট করেন আলোচিত স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল। তার মতো সেঞ্চুরির স্বপ্নে বিভোর ছিলেন ডিকাভেলাও। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৬ রানে তাকে থামতে হয়। পেসার কেমার রোচের বলে বোল্ড হওয়া ডিকাভেলার ১৬৩ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। দলীয় ৪৩৮ রানে নিশাঙ্কা ও ৪৬০ রানে ডিকাভেলার আউটের পর শ্রীলঙ্কার লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে তারা ৪৭৬ রানে অল-আউট হয়। উইন্ডিজের পক্ষে রোচ-কর্নওয়াল ৩টি করে উইকেট নেন।
টার্গেট পেয়ে দিন শেষে ২০ ওভার ব্যাট করে উইন্ডিজ। ওপেনার জন ক্যাম্পবেলের উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৪ রান। ক্যাম্পবেল করেছেন ১১ রান। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেট ৮ ও এনক্রুমার বোনার ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ১৬৯ ও উইন্ডিজ ২৭১ রান করেছিল।