বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৯ হাজার শিক্ষকের টাইমস্কেল নিয়ে রিট হাইকোর্টে খারিজ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৯ হাজার শিক্ষকের টাইমস্কেল নিয়ে রিট হাইকোর্টে খারিজ 

160439highcourt

সারা দেশে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন। আদালত বলেছেন, চাকরি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির যথাযথ জায়গা হলো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে রিট আবেদন চলতে পারে না।

শিক্ষকদের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি সম্পন্ন হয়। এই রুল খারিজ করে রায় দিলেন হাইকোর্ট। এসময় আদালত উল্লেখিত মন্তব্য করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষনা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করা এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির শর্ত ঠিক করে একটি বিধিমালা জারি করে। এই বিধিমালার আলোকে শিক্ষকরা টাইমস্কেল পেয়ে আসছেন। কিন্তু গতবছর ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ওই টাইমস্কেল বাতিল করে একটি আদেশ জারি করে। এতে এরইমধ্যে টাইম স্কেল বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতবছর ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহীর গাঙ্গোপাড়া বাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক এ রিট আবেদন করেন। ওইদিন হাইকোর্ট ৬ মাসের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গতবছর ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত গতবছর ১৩ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। চেম্বার বিচারপতির আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি সম্পন্ন হয়। এরপর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone