বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » পদত্যাগে কি লাভবান হবে কেজরিওয়াল

পদত্যাগে কি লাভবান হবে কেজরিওয়াল 

kaj ai

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : দুর্নীতিবিরোধী জন লোকপাল বিল বিধানসভায় উত্থাপনে কংগ্রেস ও বিজেপির বিরোধিতার মুখে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় তাঁর অপ্রত্যাশিত পদত্যাগ ভারতের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃস্টি করেছে। তার পদত্যাগে দিল্লিসহ কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কি পরিবর্তন বা প্রভাব আসতে পারে তা নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা। বিধানসভায় জন লোকপাল বিল উত্থাপন ইস্যুতে মুলত কংগ্রেস, বিজেপি ও এএপি সমানভাবে ভূমিকা রেখেছে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন দল লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সেদিকেই এখন সকলের মনোযোগ।

শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের পদত্যাগের কারণে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লাভবান হতে পারে আম আদমি পার্টি। পদত্যাগের মাধ্যমে দলটি সাধারণ ভোটারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, তারা যা বলে, তা করে থাকে। এতে ভোটারদের মনে আম আদমি সম্পর্কে একটি ইতিবাচক স্বচ্ছ ধারণার সৃষ্টি হবে। লোকসভার ভোটে এর সুফলও তাদের পক্ষে যেতে পারে। পদত্যাগের মাধ্যমে আম আদমি জানিয়ে দিয়েছে, যেসব ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় গিয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়নে তারা আন্তরিক ছিল। এ ছাড়া দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে দলটি কোনো আপস করেনি।

এদিকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর কংগ্রেস বলেছে, আম আদমি সরকারের ওপর থেকে তারা সমর্থন প্রত্যাহার করেননি, বরং কেজরিওয়াল সরকার চালাতে ব্যর্থ হয়ে জনলোকপাল বিলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরে দাঁড়ালেন। একই মত দিয়েছে বিজেপি। দুই দলই বলছে, তারা জন লোকপালের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু আইন ও প্রথার বাইরে তারা বিল পাস করানোয় শরিক হতে পারবে না।

পদত্যাগের ব্যাপারে দলীয় সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে কেজরিওয়াল বলেন, মুলত মুকেশ আম্বানির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কংগ্রেস ও বিজেপি জন লোকপাল বিল বিধানসভায় উত্থাপনে বিরোধিতা করেছে। কারণ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। মুকেল আম্বানির টাকায় কংগ্রেস ও বিজেপি চলে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এমনকি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয় মুকেশ আম্বানির টাকায় হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে এএপির পক্ষে কতটুকু সমর্থন জাগবে বা এভাবে হঠাৎ করে পদত্যাগ করায় কেজরিওয়ালের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না কমবে তা বুঝতে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone