বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সেরামের

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সেরামের 

114846_bangladesh_pratidin_serum-institute-of-india

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ বাংলাদেশে পাঠাবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রথম চালানে যে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে তার জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভারতের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এরপর আরও কিছু প্রক্রিয়া শেষে ইন্ডিয়া কাস্টমসে যাবে কাগজপত্র।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দ্বিতীয় ধাপের টাকা ছাড় করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর প্রস্তুত হয়ে আছে ওই টিকা দেশে এসে পৌঁছার পর সেগুলোর ব্যাচভিত্তিক যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আরেক দফা ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য। ছাড়পত্র দেওয়ার পরই মূলত এই টিকা ব্যবহার করা যাবে।

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সেরামে পৌঁছানোর পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। সেদিক থেকে বাংলাদেশে ২৫ জানুয়ারি টিকা পাঠানোর যে কথা রয়েছে তা আরও এগিয়েও আসতে পারে। অর্থাৎ তার আগে যেকোনও দিন অল্প পরিমাণে হলেও বাংলাদেশে করোনার টিকা আসতে পারে। ২৫-২৬ জানুয়ারি বড় চালান আসার প্রস্তুতিও রয়েছে। সেজন্য নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে ওই সূত্র থেকে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে জানানো হয়, দেশে একসঙ্গে ১৪-১৫ কোটি ডোজ টিকা সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতেই করোনার টিকা দেওয়া হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় চার লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে, যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ টিকা রাখা যাবে।

তবে জেলা পর্যায়ের অনেক স্টোর যথাযথভাবে এখনও প্রস্তুত করা হয়নি। গত শনিবার স্বাস্থ্যসচিব মো. আব্দুল মান্নান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম গাজীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে টিকা ব্যবস্থাপনাও ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলেও জানায় ওই সময় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র।

এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম টিকা দেওয়ার কাজ করবে। প্রতিটি টিমে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবে। এরই মধ্যে টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অক্সফোর্ডের টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমতি আমরা আগেই দিয়েছি। এখন দেশে টিকা আনতে আর বাধা নেই। যখন দেশে টিকা আসবে তখন আমাদের কাছে আমদানিকারক চালানভিত্তিক ব্যাচের কাগজপত্র নিয়ে আসবে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখে যদি সব কিছু বিধি অনুসারে থাকে, তবে ওই টিকা দেশে ব্যবহারের জন্য আরেক ধাপের অনুমোদন দিয়ে দিব। এ জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘অক্সফোর্ড ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনও টিকা দেশে আনার আবেদন আমাদের কাছে জমা নেই। তবে ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসিতে (বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ) ভারত, চীন ও বাংলাদেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র জমা পড়েছে বলে জানি।’

সেরাম থেকে অক্সফোর্ডের টিকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা গত সপ্তাহের শেষ দিকে জানান, বিমানবন্দর থেকে টিকা নামানোর পর অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে টিকা তাদের নিজস্ব সংরক্ষণাগারে নেওয়া হবে। এরপর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে তা বুঝিয়ে দেবেন। তবে সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে বেক্সিমকো তাদের নিজস্ব বিশেষায়িত পরিবহনের মাধ্যমে জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের স্টোরে টিকা পৌঁছে দেবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (টিকা) ডা. সামসুল হক  বলেন, ‘এখন আমাদের অপেক্ষা কেবল টিকা দেশে এসে পৌঁছানোর। এরপর বেক্সিমকো ফার্মার নিজস্ব পরিবহনে তালিকাভুক্ত এলাকায় সির্ভিল সার্জনদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone