বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » মার্কিন সেনার উপর হামলার চেষ্টা চীনের!

মার্কিন সেনার উপর হামলার চেষ্টা চীনের! 

171754_bangladesh_pratidin_usa

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপর আক্রমণ চালানোর জন্য চীন জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছিল। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে গত ১৭ ডিসেম্বর জানিয়েছে পেন্টাগন। তবে ট্রাম্প এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয়, চীন কাদের টাকা দিতে চেয়েছিল।

করোনার সময় থেকে চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে চীনের বিরোধিতা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খানিকটা ভালো হতে পারে। তারই মধ্যে এই খবর প্রকাশ করল মার্কিন গণমাধ্যম।

খবরে দাবি করা হয়েছে, পেন্টাগনের সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানে অবস্থিত মার্কিন সেনার উপর আক্রমণ চালাতে চেয়েছিল চীন। তবে সরাসরি নয়। এই কাজে আফগান জঙ্গিদের ব্যবহার করতে চেয়েছিল চীন। সে জন্য তাদের টাকাও দিতে চেয়েছিল। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা আছে। ন্যাটোর বাহিনীর সঙ্গে যারা কাজ করছে। নভেম্বরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই সেনা দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ন্যাটো অবশ্য এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিল।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শিনজিয়াং প্রদেশে চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের ছোট সীমান্ত আছে। চীন বরাবরই চায় ওই সীমান্তের মাধ্যমে আফগানিস্তানে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে। শুধু তাই নয়, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের বসবাস। যা নিয়ে চীনকে নানা সময় নানা কথা শুনতে হয়। চীনের ধারণা, সীমান্ত অঞ্চলে মার্কিন সেনাও চীনের উপর নজরদারি চালায়।

ফলে অনেক দিন ধরেই চীন দাবি করছে, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাক। চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং আমেরিকা একটি মঞ্চ শেয়ার করে। সেখানেও আফগানিস্তান প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। চীন একাধিকবার সেখানে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর দাবি জানিয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলি তা মানতে চায়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, সে কারণেই আফগান যোদ্ধাদের সাহায্যে চীন মার্কিন সেনার উপর হামলা চালাতে চেয়েছিল। ট্রাম্পের কাছে এই খবর দেওয়া হলেও বাইডেনকে তা জানানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা চীন নিয়ে নতুন কোনো নীতি নেয় কি না, তাও দেখার।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone