বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ‘ক্ষোভে’ ভারতে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

‘ক্ষোভে’ ভারতে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল 

134552_bangladesh_pratidin_indo11

বিশ্ববাসীর মানবাধিকার সুরক্ষিত করাই তাদের প্রচেষ্টা। ভারতে সেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সঙ্কটের মুখে। সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। বাধ্য হয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়ে ভারতে সব কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

ভারতে কোনো সংস্থা যদি বিদেশি অনুদান নিতে চায় তবে বিদেশি অনুদান (নিয়ন্ত্রণ) আইনে নথিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক।

নয়াদিল্লির অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তা করেনি। আবার কোনো অলাভজনক সংস্থা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের চ্যানেলে বিদেশি অর্থ নিতে পারে না। অ্যামনেস্টি সেটাই করেছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, সেই কারণেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে সরকার। সেটা আমরা জানতে পেরেছি গত ১০ সেপ্টেম্বর। বাধ্য হয়ে সংস্থার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে।’’

ভারতের সব কর্মীকেও বসিয়ে দিয়ে সমস্ত প্রচার ও গবেষণার কাজ বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

নয়াদিল্লির তরফে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলি উড়িয়ে দিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, ভারত সরকারের ক্রমাগত মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে অপদস্থ করার অপচেষ্টার এটা শেষ নিদর্শন। প্রমাণ হয়নি এমন অভিযোগ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতেই সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

দেশের সমস্ত আইন কানুন মেনে তারা কাজকর্ম করেন বলেও দাবি করেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

গত বছরের আগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছিল উপত্যকায়। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ইন্টারেন্ট, কেবল টিভি-সহ যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্র। তাতে জম্মু কাশ্মীরের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আবার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে সংঘর্ষের সময়েও একই অবস্থান ছিল সংস্থার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, এই সব কারণেই অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone