বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|সোমবার, মে ৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » সেই জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘোষণা ময়নাতদন্তে

সেই জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘোষণা ময়নাতদন্তে 

104810_bangladesh_pratidin_Floyed

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে আমেরিকাজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুলিশ আটক করলে ৪৬ বছরের ফ্লয়েড হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গলায় চাপ বা আটকে ধরার কারণে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের এক ভিডিওতে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার গলায় হাঁটু চেপে ধরায় ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’।

ওই ঘটনায় অফিসার ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে তৃতীয়-পর্যায়ে হত্যা ও অনিচ্ছাকৃত বা বেআইনি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাকে আদালতে তোলা হবে। এছাড়া তিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তে জর্জ ফ্লয়েডের হৃদরোগ ও সাম্প্রতিক মাদক গ্রহণের প্রমাণও পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকতারা জানান, পুলিশ অফিসার চেপে ধরলে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এর আগে ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকে আরেকটি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে বলা হয় পুলিশ গলা ও ঘাঁড়ে চাপ প্রয়োগ করায় তিনি অক্সিজেন চলাচলের বাধাজনিত অ্যাসফিক্সিয়ায় আক্রান্ত হন।

পরিবারের নিযুক্ত আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প বলেন, পুলিশ ডেরেক চাওভিন যদি ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চাপা না দিতেন ফ্লয়েড বেঁচে থাকতেন।

এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জের ধরে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে দাঙ্গা পুলিশ। কয়েকটি শহরে পুলিশের যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone