নজিরবিহীন বিপর্যয় পশ্চিমবঙ্গে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধারণার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি তা-ব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঘণ্টা চারেকের তুমুল ঝড়ে ল-ভ- হয়ে গেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকা। এসব স্থানে অন্তত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে আসল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা জানা যায়নি। এ সময় বহু গ্রাম তলিয়ে যায়, শত শত গাছ উপড়ে যায় এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঘড়ের মূল তা-ব চলে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আম্ফান এতটা ভয়াবহ হবে ভাবিনি। গোটা শহর ল-ভ- করে দিয়েছে। তিনশর বেশি গাছ, কিছু বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আম্ফানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি গ্রাস করেছে এই ঝড়। তিনি আরও জানান, আম্ফানের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে এক লাখ কোটি টাকা। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলাকে এখন সবকিছু পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
রাজ্যের আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সুন্দরবনসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গেছে। আইলার সময়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। আর কলকাতায় আইলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এ দিন আম্ফানের তা-বের সময়ে দমদমে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার এবং কলকাতার আলিপুরে ১১৪ কিলোমিটার। রাত পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪৪.২ মিলিমিটার।