বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|রবিবার, মে ৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ

ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ 

64247_1

এইদেশ এইসময় : কিছুদিন ধরেই একটা ছেলে গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করতে চাইছে। তাকে বারবার বোঝানো সত্ত্বেও পিছু ছাড়ছে না। স্পষ্ট ভাবে বলেই দেয়া হয়েছে যে তার সাথে বন্ধুত্ব করা সম্ভব নয়, তাও সে পিছু নিয়ে বসে আছে। পুরুষ মানুষ যদি এরকম ব্যক্তিত্বহীন আচরণ করে তাহলে বিরক্তি লাগাটাই স্বাভাবিক!

এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পড়েছেন হয়তো। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক পুরুষ আছেন যাদেরকে এক কথায় ব্যক্তিত্বহীন উপাধি দিয়ে দেয়া যায়। এ ধরণের পুরুষদের থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা যায় ততই ভালো। কারণ এমন মানুষেরা বন্ধু কিংবা প্রেমিক হিসেবে সকলের জন্যই ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর। নানান সময়ে এরা ডেকে আনতে পারে আপনার জন্য নানান রকম যন্ত্রণা। আসুন জেনে নেয়া যাক ৬ ধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ থেকে দূরে থাকা উচিত সেই প্রসঙ্গে।

অতিরিক্ত প্রেমিকা/ স্ত্রী ঘেঁষা
অতিরিক্ত প্রেমিকা/স্ত্রী ঘেঁষা পুরুষ এরা নিঃসন্দেহে ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ। আপাত দৃষ্টিতে প্রেমিকারা এ ধরণের পুরুষদেরকে পছন্দ করলেও কিছুদিন পরেই ব্যক্তিত্বহীনতা দেখে দেখে বিরক্ত হয়ে যায়। এ ধরণের পুরুষরা প্রেমিকা/স্ত্রীর কথার বাইরে কোন কাজ করেনা, তাদের নিজস্ব কোনো মতামত থাকেনা, তাদের আত্মবিশ্বাস খুবই কম থাকে এবং শ্বশুরবাড়ি ঘেঁষা হয়। এ ধরণের পুরুষদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ এদের সঙ্গে সম্পর্কে খুব সহজেই একঘেয়েমি চলে আসে।

অতিরিক্ত মা ঘেঁষা
অতিরিক্ত মা ঘেঁষা পুরুষরাও ব্যক্তিত্বহীনের কাতারেই পড়ে। মায়ের জন্য ভালোবাসা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ভালোবাসার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় এবং সেটা সংসারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় তাহলে সেটা অবশ্যই বেশ বিরক্তিকর। এ ধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং নিজের ব্যক্তিগত সংসার জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এরা মায়ের কথার বাইরে কিছু করে না আর মা একটা অন্যায় করলেও সেটাকে সমর্থন করে।

গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করতে চায় যারা
কিছু পুরুষকে দেখা যায় মেয়ে দেখলেই গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করতে চায়। ক্লাসে কিংবা ফেসবুকে কোনো মেয়ে দেখলেই হুট করে ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’ ধরণের কথা বার্তা বলে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। কেউ কেউ আবার সব মাত্রা অতিক্রম করে না চিনেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে। এ ধরণের পুরুষদের থেকে বিশেষ নারীদের দূরত্ব বজায় রাখাই নিরাপদ। কারণ এরা পিছে লেগে থাকে এবং অহেতুক বিরক্তি সৃষ্টি করে। পুরুষদের জন্যঅ এমন বন্ধু ভালো নয়।

নারী সহকর্মীকে উত্যক্ত করে
কিছু পুরুষ আছে যারা কর্মক্ষেত্রে মার্জিত না থেকে সহর্কমীর সাথে ফ্লার্ট করে। এ ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারী সহকর্মীকে অযথাই উত্যক্ত করে এবং কথা বলার সুযোগ খুঁজতে থাকে সব সময়। নারী সহকর্মীর কাজকে হেয় করার চেষ্টা করা, কটুক্তি করা সহ আরো নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে এ ধরণের পুরুষরা। এমনকি এধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা নানান ছলাকলায় নারী সহকর্মীদের গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।

চামচামি করে
কিছু সংখ্যক পুরুষ কর্মক্ষেত্রে, ক্লাসে কিংবা সমাজে মেশার সময় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে চামচামি করে। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য খুব সহজেই নিজের মান সম্মান বিকিয়ে দেয় এ ধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা। এদের থেকে দূরে থাকা নিরাপদ সকলের জন্য।

নিজেকে বেশি জাহির করে
আমাদের সবার আসেপাশেই এমন কিছু পুরুষ আছে যারা নিজেকে অতিরিক্ত জাহির করে আনন্দ পায়। নিজের চাকরি, পড়াশোনা, বেতন, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি নিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে মিথ্যা করা বলার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। এ ধরণের পুরুষদের অতিরিক্ত মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকে। তাই এধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone