বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বুধবার, মে ১, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » খেলা » তিন ফরম্যাটেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

তিন ফরম্যাটেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ 

Bangladesh-daily-sun

 

সুযোগ ছিল নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার। আন্তর্জাতিক ম্যাচে কখনো সবকটি উইকেট হাতে রেখে জেতেনি বাংলাদেশ।জিম্বাবুয়ের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটিং করছিল সেভাবেই। কিন্তু এবারও হলো না। মিরপুরে বাংলাদেশ শেষ টি-টোয়েন্টি জিতল ৯ উইকেটে। রেকর্ড ব্যবধানে জয় না পেলেও নতুন আরেকটি অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের।পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এবারই প্রথম তিন ফরম্যাটেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। ওয়ানডেতে অতিথিদের হোয়াইটওয়াশ করেছে ৩-০ ব্যবধানে। এবার টি-টোয়েন্টি জিতল ২-০ ব্যবধানে।সিরিজ জয়ের চাপ ছিল বাংলাদেশের ওপর। তবুও টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্রাম দিল নিয়মিত একাদশের তিন খেলোয়াড়কে। তামিমের সঙ্গী শফিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দলে এলেন আল-আমিন, নাঈম শেখ। অভিষেক হলো হাসান মাহমুদের।তিন পরিবর্তনেও পাল্টাল না ম্যাচের ফলাফল। বাংলাদেশ জিতল হেসেখেলে। আগে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে তোলে মাত্র ১১৯ রান। মামুলি লক্ষ্যে বাংলাদেশ জিতে যায় খুব সহজে। ২৫ বল আগে ৯ উইকেটের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।লিটনের ব্যাট থেকে আসে আরেকটি ফিফটি। ওয়ানডেতে তিন ইনিংসে করেছিলেন ৩১১ রান। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে এল ১১৯। প্রথম ম্যাচের ৫৯ এর সঙ্গে আজ ৬০। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন এ সিরিজে বুঝিয়ে দিয়েছেন সময় যখন ভালো যায় তখন ব্যাট যেন শান দেওয়া তরবারি। তামিমের পরিবর্তে নামা নাঈম শেখ হতাশ করেনি। উদ্বোধনী জুটিতে লিটনকে সঙ্গে দিয়ে ৭৭ রান যোগ করেন। তাতে বাঁহাতির অবদান ৩৪ বলে ৩৩ রান। নাঈম সাজঘরে ফেরার পর লিটন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য ও লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। লিটন ৮ চারে সাজান ৬০ রানের ইনিংস। সৌম্যর ২ ছক্কায় ১৬ বলে করেন ২০ রান।সহজ জয়ের ভিত গড়েছিলেন বোলাররা। টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতে থেকেই বোলাররা ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ ধরে টানা বোলিং করে যান আল-আমিন, সাইফউদ্দিন ও হাসান মাহমুদ। তিন পেসারের চাপে পাওয়ার প্লে’তে রান উঠেছে সামান্যই। ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে মাত্র ৩১ রান। স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর রানের চাকায় লাগাম টানেন। ওভারে একাধিক ডট বল আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেন স্পিনাররা।বল হাতে মুস্তাফিজ ২৫ রানে ২টি এবং আল-আমিন ২২ রানে ২ উইকেট নেন। ১ উইকেট করে নেন সাইফউদ্দিন, আফিফ ও মেহেদী হাসান।ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে লড়াই করেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডান টেলর। পুরো সফরে নিষ্প্রভ হয়ে থাকা টেলর শেষ ম্যাচে ৪৮ বলে করেন ৫৯ রান। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে তাদের ব্যাটিং অর্ডার।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone