বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধের উপায়

ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধের উপায় 

HOW-TO-REMOVE-BLACKHEADS-5

 

নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ছিদ্রপথে তেল ও ময়লা জমে। পরবর্তীতে বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইজড হয়ে সেগুলো কালো হয়ে যায়।ত্বকের প্রাকৃতিক ছিদ্রগুলোতে কালো যে ময়লা দেখা যায় সেগুলোকে  ব্ল্যাকহেডস বলে। সাধারণত নাকের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার প্রবণতা বেশি।

 

বেকিং সোডা ও পানি: বেকিং সোডা হচ্ছে এমন একটি কমন কিচেন আইটেম যা দিয়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায়। এজন্য দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট মুখমণ্ডলে ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন। মিক্সচারটি আপনার ত্বক শুষ্ক করতে পারে। এ কারণে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বারের বেশি ব্যবহার করবেন না।

 

এক্সফোলিয়েশন মিক্সচার: বাদামী চিনি, মধু ও লেবুর রসের এক্সফোলিয়েশন মিক্সচার আপনার চিবুক ও নাকের ব্ল্যাকহেডসে ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ বাদামী চিনি, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে মুখমণ্ডল পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

 

টি ট্রি অয়েল: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিবুক ও নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে টি ট্রি অয়েল সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। অনেক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের অন্যতম উপকরণ এই অয়েল। যেমন- সাবান ও ক্রিম। এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবেও এই তেল পাওয়া যায়।

 

 কস্তুরি হলুদ:  হলুদে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টি রয়েছে যা ব্ল্যাকহেডস অপসারণ করে। তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সাধারণ হলুদ ত্বকে দাগ ফেলতে পারে। কিন্তু কস্তুরি হলুদের ব্যবহারে ত্বকে দাগ পড়ে না।

এক টেবিল চামচ কস্তুরি হলুদ, এক টেবিল চামচ পানি অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট মুখমণ্ডলে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

 

নারকেল তেল ও চিনির স্ক্রাব: শুধু চিবুক, নাক বা মুখের আশপাশেই ব্ল্যাকহেডস ওঠে না, শরীরের অন্যান্য অংশেও তাদের আবির্ভাব হতে পারে। নিউ ইয়র্ক সিটির ডার্মাটোলজিস্ট হুইটনি বোভি বলেন, ‘ত্বকের মৃতকোষ অপসারণ করতে এক্সফোলিয়েটিং করলে ব্ল্যাকহেডসও দূর হতে পারে।’ তিনি ঘরোয়া বডি স্ক্রাব তৈরি করতে নারকেল তেল ও চিনি একত্রে মেশাতে সুপারিশ করছেন।

 

পোর স্ট্রিপ: ব্ল্যাকহেডস অপসারণের একটি জনপ্রিয় টোটকা হচ্ছে পোর স্ট্রিপস। কার্যকর পোর স্ট্রিপ তৈরি করতে দুধ ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। ডা. ডেন বলেন, ‘দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের মৃতকোষ ও তেল দূর করে। অন্যদিকে মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি ব্যাকটেরিয়া হত্যা করে।’ এক টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অর্গানিক কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ১০ সেকেন্ড ওভেনে গরম করুন। মিক্সচার ঠান্ডা হলে ব্ল্যাকহেডসে প্রয়োগ করুন। ১৫ মিনিট পর মুখমণ্ডল ধুয়ে ময়েশ্চারাইজ করুন।

 

গ্রিন টি: না, এই চা পানে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে না। এগুলো অদৃশ্য করতে মুখমণ্ডলের ওপর গ্রিন টি রাখতে হবে। ডা. ডেন জানান, ‘গ্রিন টি ত্বকে তেলের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে এবং চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।’

এক চা-চামচ গ্রিন টি, এক চা-চামচ পানিতে মিশিয়ে ব্ল্যাকহেডসের স্থানে তিন মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ট্রিটমেন্ট সপ্তাহে দুই বা তিনদিন ব্যবহার করা যাবে।

ফেস মাস্ক: ব্ল্যাকহেডস কমাতে একটি সহজ পদক্ষেপ হচ্ছে প্রাকৃতিক ফেস মাস্ক ব্যবহার। এজন্য শুধু ডিমের সাদা অংশ ও টিস্যু প্রয়োজন হয়। প্রথমে একটি ডিমের সাদা অংশ বের করে মুখমণ্ডলের ত্বকে মেখে নিন। তারপর মুখমণ্ডলের ওপর টিস্যু বসিয়ে ডিমের সাদা অংশের আরেকটি স্তর দিন। মাস্ক ২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলুন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone