বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় আজ

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় আজ 

index

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল। ঘটনার দশ বছর পর আলোচিত ও বিশ্ব মিডিয়া কাপানো চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র আটক ও চোরাচালানী মামলার রায় আজ ঘোষিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন।

অস্ত্র আটক ও চোরাচালান এই মামলা দুটির রায় ঘোষনার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত পাড়াকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

এই দু’টি মামলায় দীর্ঘ দিনের বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত ১৩ জানুয়ারি বিচারক ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন। এই মামলায় আসামি হয়ে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (৮২), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (৫৩), এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী (৬০) ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম (৬১), সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ (৫৩), সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন (৪৩), সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন (৪৭), সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার (৬২), সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক (৬১), চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৮) এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ (৪৫)সহ আরো ৩৯ জন।

এই মামলা দু’টিতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে আসা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আসামিদেও বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন আদালত।’

আর আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের জড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করছি তারা বেকসুর খালাস পাবেন।’

চট্টগ্রাম কারাগারে ওরা ১১ জন
রায় ঘোষণার আগের দিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আলোচিত আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক চার কর্মকর্তাকে।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিজামী ও বাবরকে কাশিমপুর কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার ১১ জন আসামি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতে আছেন। এরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানী হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৮) এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ।

আদালত পাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত পাড়া ও আশপাশের এলাকাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত পর্যন্ত এলাকায় বুধবার রাত থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই আদালতের বিচারক এসএম মুজিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া নাশকতার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

সিএমপি সূত্রে জানা যায়, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়কে ঘিরে নগরীতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদরদপ্তর থেকে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে সিএমপি। পুলিশের পাশাপাশি রায়কে ঘিরে থাকছে র‌্যাব, পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিজিবিও।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রায়কে ঘিরে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পাশপাশি র‌্যাব-আমর্ড পুলিশও মোতায়ন করা হচ্ছে।’

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) রেজাউল মাসুদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘আজ ভোর থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রায় দশ প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকছে। রাতেও নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি প্রায় দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। আদালতের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট
বসিয়ে তল্লাশি করা হবে। আদালতের আশপাশে উঁচু ভবনগুলোতে, ফুটওভারের উপরে আর্মড পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’

পুলিশ জানায়, বায়নোকুলার ও ক্যামেরা নিয়ে থাকবে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম। এছাড়া চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালত ভবনে আসামিদের নেয়ার পথে সব উঁচু ভবনের ছাদে আর্মড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাময়িকভাবে ওই সড়কে যানবাহন চলাচলও শিথিল রাখা হবে। এছাড়া আদালত ও কারাগার ঘিরে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিমের টহল অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে বিচারকের এজলাশ ও বাসভবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এক নজরে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা
দেশ বিদেশ তোলপাড় করা চট্টগ্রামের আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আদ্যপান্ত।

অস্ত্র উদ্ধার: ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল নগরের সিইউএফএল জেটিঘাটে।

অস্ত্রের পরিমাণ: আটক দশ ট্রাক অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ছিল উজিগান, টমিগান, এসএমজি, এমএমজিসহ ১ হাজার ৭৯০টি বিভিন্ন ধরনের অগ্নেয়াস্ত্র, ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২০টি গুলি, ৬ হাজার ৩৯২টি গুলির ম্যাগাজিন, ২৪ হাজার ৯৯৬টি গ্রেনেড এবং ১৫০টি রটেক ল্যাঞ্চার।

মামলা: নগরের কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আটক ও চোরাচালান আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় চোরাচালন এবং ১৮৭৮ সালের ১৯(এ) ধারায় অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা: কর্ণফুলী থানার ওসি আহাদুর রহমান প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার একেএম কবির উদ্দিন, মীর নওশের আলী, ইসমাঈল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান চৌধুরী। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাক্ষী: অভিযোগপত্রে রয়েছে ২৬৫ সাক্ষী। এরমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৬ জন। এরমধ্যে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট। সাক্ষীদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

অভিযোগপত্র: ২০০৪ সালের ১২ জুন হাফিজুর রহমান ও দ্বীন মোহাম্মদকে প্রধান আসামি করে প্রথম দু’টি মামলায় ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডি। একই বছরের ১৯ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি। সাক্ষ্যগ্রহণ চলতে থাকে। আদালত বৈরীও ঘোষণা করেন ২০ সাক্ষীকে। ২০০৭ সালে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৩ জুন তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন সিআইডি। যেখানে বাবর ও নিজামীসহ নতুন করে ১১ জনকে আসামি করা হয়।

অভিযোগ গঠন: সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসা নতুন ১১ আসামি বাবর-নিজামীর বিরুদ্ধে আদালত ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল ৪৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগগঠন করেন আদালত।

সাক্ষ্য গ্রহণ: ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় গত বছরের অক্টোবরে। ১ হাজার ২০০ পৃষ্ঠা জুড়ে সাক্ষী ও জেরা রেকর্ড করেন বিচারক। ৩৪ কার্যদিবস তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

যুক্তিতর্ক: চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শেষ হয়।

বিচারক: চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী: মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

রায়: ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ইংরেজি।

আসামি যারা
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চারজনের মৃত্যুর পর বর্তমানে অস্ত্র আটক মামলায় আসামি হিসেবে আছে ৫০ জন এবং চোরাচালান মামলায় ৫২ জন।

জানা যায়, অস্ত্র আটক মামলার আসামিদের মধ্যে ১১ জন হাজতে, ২৭ জন আসামি জামিনে এবং ১২ জন পলাতক আছেন।

হাজতে থাকা আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ।

জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- হাজী মো. আব্দুস সোবহান, সানোয়ার হোসেন চৌধুরী, দিলদার হোসেন চৌধুরী, মরিয়ম বেগম ওরফে বদনি মেম্বার, জসীম উদ্দিন ওরফে জসীম, আব্দুল আজিজ, মো. আকতার, মো. জাহাঙ্গীর, নূরুল আবছার ওরফে আবছার মেম্বার, আরজু মিয়া প্রকাশ পাগলা, এজাহার মিয়া, মুজিবুর রহমান ভুলু, শেখ মোহাম্মদ, ফজল আহাম্মদ চৌধুরী, আকবর আলী, বাদশাহ মিয়া, ওসমান মিস্ত্রি, আব্দুল মান্নান, কবির আহাম্মদ, মো. রফিক, মনির আহাম্মদ, আব্দুল মালেক, মঞ্জুরুল আলম, সালেহ জহুর প্রকাশ গুরা মিয়া, ফিরোজ আহম্মদ, সাইফুদ্দিন এবং কামাল মিয়া।

পলাতক আসামিরা হলেন- উলফার সামরিক কমাণ্ডার পরেশ বড়ুয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন, প্রদীপ কুমার দাশ প্রকাশ ব্রজগোপা, নূরনবী, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আব্দুর রহিম মাঝি, আব্দুস সবুর, মো. শাহআলম, মো. সোবহান ও শাহজাহান।

চোরাচালান মামলায় ১১ জন হাজতে, ২৮ জন জামিনে এবং ১৩ আসামি পলাতক আছেন। অস্ত্র আটক মামলায় আসামি হিসেবে থাকা সবাই চোরাচালান মামলায়ও আসামি। অতিরিক্ত দু’আসামি হলেন- পলাতক আবুল হোসেন এবং জামিনে থাকা সফিকুর ওরফে সফিউর রহমান। তবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ থাকা ওই আবুল হোসেন এনএসআইয়ের সাবেক উপ-পরিচালক (অব.) মেজর লিয়াকত বলে শনাক্ত করেছেন মামলার দু’জন সাক্ষী যারা অস্ত্র আটকের সময় সিইউএফএল অবস্থান করছিলেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone