বাংলাদেশ ২৩২ রানে অলআউট
স্পোর্টস ডেস্ক : অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের অর্ধশতকের পরও সোমবার মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩২ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে এ দুজন ছাড়া স্বাগতিক দলে বলার মতো অবদান কেবল সোহাগ গাজী ও অভিষিক্ত শামসুর রহমানের। বাকি সাতজনই ব্যর্থ হয়েছে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ঘণ্টায় টপ অর্ডার সাজঘরে ফেরায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ৪০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরেন তামিম ইকবাল, মার্শাল আইয়ুব ও শামসুর রহমান।
একবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম (৬)। সামিন্দা এরাঙ্গার বলে ডিপ ফাইন লেগে সুরঙ্গা লাকমলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ডানহাতি পেসারের আগের ওভারেই শর্ট লেগে কৌশল সিলভার হাতে জীবন পেয়েছিলেন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে মাত্র ৬ বল টিকেছেন মার্শাল আইয়ুব (১)। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শামসুর (৩৩) গালিতে এরাঙ্গার বলে কিথুরুয়ান ভিতানাগের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। বাংলদেশের ৭১তম টেস্ট খেলোয়াড় শামসুরের ৭ চারের কয়েকটি এসেছে ব্যাটের কানায় লেগে।
লাকমলের খাটো লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে মুমিনুল হকের (৬) বিদায় দলের বিপদ আরো বাড়ায়। ৪ উইকেটে ৭২ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনে ১১৮ রান যোগ করলেও সাকিব ও নাসির হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নভোজের পর সাকিব-মুশফিকের সাবলীল ব্যাটিং দেড়শ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যায় স্বাগতিকদের। অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের বলে সাকিব (৫৫) এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে বড় একটা ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।
এটি সাকিবের ১৫তম অর্ধশতক। তার ৯১ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার।
সাকিব-মুশফিকের ৮৬ রানের জুটি ভাঙ্গার পর আবার আঘাত। এরাঙ্গার বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ চান্দিমালের গ্লাভসবন্দী হওয়ার আগে মাত্র ৪ রান করেন নাসির হোসেন।
সোহাগ গাজীর সঙ্গে মুশফিকের ৫৩ রানের আরেকটি চমৎকার জুটি বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের ভালো অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছিল। তবে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হয়ে মুশফিকের বিদায়ের পর বেশি দূর এগোয়নি স্বাগতিকদের ইনিংস।
শেষ পাঁচ ইনিংসের চারটিতেই অর্ধশতকে পৌঁছানো মুশফিককে ফিরিয়েছেন সুরঙ্গা লাকমল। তার নিচু হয়ে যাওয়া বল মুশফিকের ব্যাটের কানায় লেগে প্যাডে লাগলেও এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙ্গুল তুলে দেন ইংল্যান্ডের আম্পায়ার নাইজেল লং। এর আগে ১২২ বলে ৯টি চারে ৬১ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৯ রানে মুশফিক, সোহাগসহ শেষ চার উইকেট হারানোয় আড়াইশ পর্যন্ত যেতে পারেনি বাংলাদেশ। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন সোহাগ গাজী (৪২)।
রুবেল হোসেনকে (২) বোল্ড করেন হেরাথ। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার এরাঙ্গার শিকারে পরিণত হন রবিউল ইসলাম (৫)। এরাঙ্গা ৪ উইকেট নেন ৪৯ রানে। লাকমলের ৩ উইকেটের পেছনে খরচ ৬৬ রান।