বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শনিবার, মে ৪, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ইন্দোনেশিয়ায় আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইন্দোনেশিয়ায় আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর 

ইন্দোনেশিয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডে আট মাদক পাচারকারীর মৃতুদ- কার্যকর করেছে সে দেশের আদালত। মাদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাত বিদেশি ও এক স্থানীয়সহ আট মাদক পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
5
বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় মধ্য ইন্দোনেশিয়ার নুসাকাম্বাগান দ্বীপে অবস্থিত কারাগারে ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দু’জন, ব্রাজিলের একজন, আফ্রিকার চারজন ও একজন ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয়। শেষ মুহূর্তে ফিলিপাইনের এক নারী অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেরি জেন ফিয়েস্তা নামে ওই নারীর প্রাণভিক্ষা চান দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজে।

ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে, দণ্ডিত তাদের দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন পেছাতে অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধ রাখেনি ইন্দোনেশিয়া।

এর আগে কথিত ‘বালি নাইন’ মাদক চোরাচালান গ্রুপের মূল হোতা অস্ট্রেলীয় দুই নাগরিক এন্ড্রু চ্যান ও মাইয়ুরান সুকুমারানের সঙ্গে দেখা করেন তাদের স্বজনরা। কারাগার থেকে স্বজনরা চলে যাওয়ার পর সাদা কফিন বহনকারী কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারে পৌঁছায়। ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণত মধ্যরাতের পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে।

হেরোইন পাচারের চেষ্টার অভিযোগে চ্যান ও সুকুমারানসহ ৯ জন বিদেশিকে ২০০৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ কারণে তারা ‘বালি নাইন’ নামে পরিচিতি পান। ২০০৬ সালে আদালতে তারা দোষী সাব্যস্ত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা হয় যাবজ্জীবন, না হয় ২০ বছরের জেল খাটছেন।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিকে দণ্ড কার্যকরের বিষয়ে অবশ্যই ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হয়। গত রবিবার সেই নোটিশ দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone