মিসরজুড়ে সহিংসতায় ২৯ জন নিহত
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপনের দিনে মিসরজুড়ে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই কায়রোয় মারা গেছে। রাজধানীতে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা রক্ষীরা ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারীদের তাহরির স্কয়ারে যেতে বাধা দেয় যেখানে সরকার সমর্থিত এক বিশাল সমাবেশ চলছিল।
তাহরির স্কয়ারে জড়ো হওয়া মানুষ জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল। শনিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন স্থানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে উৎসাহিত করেন। সকাল থেকে হাজার হাজার সরকার সমর্থিত মিসরীয় খ্যাতনামা তাহরির স্কয়ারে এসে জড়ো হতে শুরু করে।
মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করে সবাইকে ঢুকতে দেয়া হয় এবং সেনারা ট্যাংক ও হেলিকপ্টার নিয়ে টহল দিচ্ছে।
মূলত জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির সমর্থকরাই দেশের পতাকা হাতে তাহরির স্কয়ারে এসেছে এবং তারাই গানের তালে নেচে-গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। অনেকের হাতেই ছিল আল-সিসির ছবি সংবলিত পোস্টার।
জেনারেল সিসিকে সমর্থন জানাতে আমি এখানে এসেছি। আমার ধারণা মিসরে একটি শক্ত প্রশাসন দরকার, পুলিশ প্রশাসন দরকার, যা জেনারেল সিসিই মিসরকে দিতে পারেন। তার উচিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানো।
তবে পুলিশ সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কায়রো এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গণঅভ্যুত্থানে মোবারকের পতনের পর মিসরে রাজনৈতিক সংস্কার হবে বলে অনেকের মনেই আশা জেগেছিল।
কিন্তু মুরসিকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে ইসলামপন্থী ইসলামী ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে শক্ত সরকারী অবস্থান দেখা যাচ্ছে দেশটিতে। জেনারেল সিসির বিরুদ্ধে যাবে এমন কাউকেই প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।