এশিয়ার সেরা গভর্নর আতিউর রহমান
অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ পরিবেশবান্ধব ও সমাজসচেতন উন্নয়নে পুঁজির প্রবাহ বাড়ানোর স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংক ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্যা ব্যাংকার’ সোমবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে তাকে ২০১৫ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্যা ইয়ার’ ঘোষণা করে২০১৫ সালে আতিউরের সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেলেন পেরুর হুলিও ভেলারাদ, জর্জিয়ার জর্জি কাদাজিৎসে, ওমানের হাম্মুদ বিন সাঙ্গুর আল জাদজালি ও মোজাম্বিকের আর্নেস্তো গোভ
অর্থনীতি বিষয়ক সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে “প্রবৃদ্ধি বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে কোনো আপস না করে পরিবেশবান্ধব ও সমাজসচেতন উন্নয়নে পুঁজি সরবরাহ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।” “শুরুতে এটা সহজ ছিল না। সেন্ট্রাল ব্যাংকাররা সাধারণত কিছুটা রক্ষণশীল ও সংশয়বাদী হয়ে থাকেন। তারা ভেবেছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে বিপর্যয় হবে।“অনেক উন্নত দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফাঁপা তারল্য ও মুদ্রাপ্রবাহ সৃষ্টি করে। বাস্তবে তারা এমন কিছু করে না, যাতে ফাটকা অর্থায়ন বন্ধ হয় এবং ক্ষুদ্র আমানতসহ তারল্য বৃদ্ধি পায়। এটা হলে, আর্থিক ব্যবস্থা আরো বেশি স্থায়ী হবে এবং সার্বিক ঋণে বৈচিত্র্য আসবে।”দ্যা ব্যাংকারের ওয়েবসাইটে আর্থিক সেবাবঞ্চিত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ লাখ ক্ষুদ্র কৃষককে ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে, যাদের ৫৫ শতাংশই নারী। এই প্রকল্পের আদায়ের হার ৯৯ শতাংশ। ছিন্নমূল শিশুদের আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসাকেও তার অন্যতম পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হয়েছে।এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার পুনঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে, যার আওতায় এক কোটি ৪০ লাখ ছিন্নমুল শিশুর সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়েছে।১৯২৬ সাল থেকে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের কাছে এই খাতের তথ্যের ভান্ডার হিসাবে পরিচিত ‘দ্যা ব্যাংকার’ বর্তমানে ১৮০টিরও বেশি দেশে পঠিত। এর ভান্ডারে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের চার হাজারের বেশি ব্যাংকের তথ্য সংরক্ষিত আছে।