চারটি কমিটি গঠন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
এই দেশ এই সময়, ঢাকা : নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতন, সহিংসতা, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাবলী তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি কমিটি গঠন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার দলের সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম শীর্ষ নিউজকে বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।’
সংঘটিত জেলায় কিভাবে ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে, কখন ঘটেছে, কারা দোষী তা চিহ্নিত করে এসব কমিটি সুপারিশ আকারে প্রতিবেদন করবে।
কমিটি চারটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। কমিটিতে বরণ্যে পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
বুধবার সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর খালেদা জিয়া এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার ঘটনাবলী তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও সদস্য সচিব এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
সদস্যরা হলেন- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব হারুন-অর রশীদ, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী।
নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও জেলার ঘটনাবলী তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ এফ এম আবদুল হালিম ও সদস্য সচিব জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহম্মদ।
সদস্যরা হলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যানি এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ঘটনাবলী তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী ও সদস্য সচিব হচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী।
সদস্যরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এডভোকেট অলিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়েদুল ইসলাম, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড।
কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার ঘটনাবলীর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ ও সদস্য সচিব হচ্ছেন দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
সদস্যরা হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোসলেম উদ্দিন জসিম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।