অর্থনৈতিক ডেস্কঃ     ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনকে সংস্কার করে ২০১২ সালে নতুন ‘ভ্যাট ও  সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ সংসদে পাস হয়।নতুন আইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরও কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মূসক এবং সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ এর প্রয়োগ ও বিভিন্ন দিক নিয়ে সিপিডি আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই পরামর্শ দেন মির্জ্জা আজিজ, যে আইনটি এ বছরের জুলাই থেকেazizul

কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।নতুন আইনে ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ বাতিল করে ‘স্ল্যাবভিত্তিক’ মূসক চালু করার প্রস্তাব রয়েছে, যা নিয়ে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সিপিডির পর্যলোচনা সভাতেও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি তর্ক-বিতর্ক হয়।প্রচলিত আইনে ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ পদ্ধতির আওতায় আয় যা-ই হোক ব্যবসায়ীদেরকে বছরশেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাট দিতে হয়। এলাকাভেদে প্যাকেজ ভ্যাটের পরিমাণও ভিন্ন। অর্থাৎ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যে ভ্যাট দিতে হয়, অঞ্চল ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় অন্যান্য অঞ্চলকে আরও কম ভ্যাট দিতে হয়।নতুন ‘স্ল্যাবভিত্তিক ভ্যাট’ পদ্ধতি চালু হলে সব অঞ্চলকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।মির্জ্জা আজিজ বলেন, “ভ্যাট আদায় পদ্ধতিতে এখনও কিছু অসমতা রয়ে গেছে। কারণ, পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট পদ্ধতির ফলে ধনী ও গরিব একইহারে তা পরিশোধ করবে। অথচ ধনীদের আর গরিবের ক্রয় ক্ষমতা এক নয়।“সার্বিক দিক বিবেচনায় ভ্যাটের হার আরো কমানো উচিত। এতে করে পণ্যের উৎপদনশীলতা বাড়তে পারে। ভ্যাটের হার কমানোর এখনই উপযুক্ত সময়।”সরকারের প্রতিমন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, উন্নয়নকর্মী, ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের নেতাসহ অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা আলোচনায় অংশ নেন। সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় নতুন ভ্যাট আইনে আরও স্বচ্ছতা এবং সংস্কার প্রয়োজন বলে মত দেন আলোচকরা।