আসন্ন টি-২০ বিশ্ব আসরকে ঘিরে সিলেট
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরকে ঘিরে দেশের পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন বিসিবি সভাপতি। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আইসিসির সঙ্গে পর্যটন বোর্ডের চুক্তি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, এবার পর্যটন এলাকা সিলেটে বিশ্ব আসরের কয়েকটি ম্যাচ হওয়ায় প্রশাসন ও রিসোর্ট মালিকরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে, পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু পর্যটন কেন্দ্র হলেই চলবে না, বিনোদনের ব্যবস্থা করা না হলে মুখ ফিরিয়ে নেবে বিদেশী পর্যটকরা।
সারি সারি সবুজ চা বাগানের জন্য সিলেটকে বলা হয় দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ। শুধু চা-বাগান নয়; পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখানে আছে পাথরের রাজ্য জাফলং, পাহাড় থেকে নেমে আসা মনোমুগ্ধকর ঝর্ণাধারা, আর ওলিকূল শিরমনি হজরত শাহজালাল ও শাহপরান (র.) এর মাজার। এতো সব সম্ভাবনার মাঝে এবার যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের ২৮টি ম্যাচ সিলেটে হওয়ায় এখানে বিদেশী পর্যটকদের আগমন আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এজন্য আইসিসি বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সঙ্গে একটা চূক্তিও করতে যাচ্ছে। এমনটা জানান বিসিবি সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরে সিলেটকে দেশ বিদেশে তুলে ধরতে সিলেটের প্রশাসন ও রিসোর্ট মালিকরা আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পর্যটন বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, বিনোদনের ব্যবস্থা করা না হলে পর্যটকরা এসেই চলে যাবে।
এরই মধ্যে সিলেটে ফাইভ-স্টার রিসোর্ট নির্মিত হয়েছে। বেসরকারী উদ্যোগে নির্মিত এসব পর্যটন কেন্দ্রকে সরকারী সহায়তা দিলে দেশের পর্যটন শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। চা-বাগানের ভেতর নির্মিত সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম এক নজর দেখতে এখনই দেশের পর্যটকরা ভিড় করা শুরু করেছেন। স্টেডিয়াম এলাকার প্রকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ তারা।