বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » খেলা » ব্যালন ডি’অরে রোনালদোর ‘লস’

ব্যালন ডি’অরে রোনালদোর ‘লস’ 

52d511c755852-Or-2

স্পোর্টস ডেস্ক : মেসি ব্যালন ডি’অর না জেতায় সবচেয়ে বেশি মন খারাপ কার? বিশ্বজুড়ে মেসির হাজারো ভক্ত সমর্থক, ক্লাব বার্সেলোনা, মেসির পরিবার, হয়তো স্বয়ং মেসিরও। তবে অ্যাডিডাসের খুব মন খারাপ হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

একে তো ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা, ১৯৭০ সাল থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপের বল এবং অন্যান্য উপকরণ সরবরাহকারী এবং যেই সম্পর্ক চলবে অন্তত ২০৩০ পর্যন্ত, তার ওপর মেসির সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ পুরোনোই। কাজেই ফুটবলের প্রতি আবেগ এবং মেসির প্রতি ভালোবাসা থাকতেই পারে, মন খারাপ হতেই পারে জার্মান প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু এই মন খারাপের কারণ যদি নিছক ফুটবলপ্রীতি বা মেসির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ভেবে থাকেন, তাহলে ভুল করবেন। অ্যাডিডাসের এই ভালোবাসা প্রকৃত ভালোবাসাই, কেননা অর্থের প্রতি ভালোবাসার মতো গাঢ় ভালোবাসা তো কমই আছে।

এ বছর অ্যাডিডাসের তিন হাজার কোটি টাকার (০.৩ বিলিয়ন ইউরো) আয় পরিকল্পনার ভবিষ্যত্ অনেকটাই নির্ভর করছিল মেসির এই ব্যালন ডি’অর জেতার ওপর! মেসি না জেতায় তাদের লাভের হিসাবের অঙ্কে কিছুটা গরমিল তো হলো। সত্যি বলতে কি, ব্যালন ডি’অর জয়ের আর্থিক লাভ-ক্ষতির হিসাব যদি করতে বসেন, তাতে ‘লস’-এর মুখে পড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেও!

রোনালদোকে কিছুটা অভাগাই বলতে হবে। এর আগে মেসি ব্যালন ডি’অর জিতে তাঁর পকেট যেভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছিল, সেই তুলনায় রোনালদোর এই পুরস্কারটা জয়ে মোটেই সেভাবে ভারী হবে না পকেট। তবে কি মেসি ছাড়া অন্য কেউ পুরস্কারটা জয় করলে মেসির তুলনায় তাদের অর্থমূল্য কম দেওয়া হবে? ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য একই থাকবে। তবে নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে পুরস্কার-পরবর্তী অর্থসমাগম।

মেসি এবং ফিফার অন্যতম স্পনসর অ্যাডিডাসের সঙ্গে ফিফার সম্পাদিত এক চুক্তিবলেই রোনালদোর এই মন্দভাগ্য। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ব্যালন ডি’অর সংক্রান্ত পণ্যসামগ্রীর উত্পাদন এবং বিপণনের একমাত্র অধিকার কেবল অ্যাডিডাসের। এই ব্যালন ডি’অরের বাণিজ্যিক প্রচার-প্রচারণার একমাত্র অধিকারও তাদের। কিন্তু রোনালদো আবার অ্যাডিডাসেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান নাইকির দূত। ফিফার সঙ্গে অ্যাডিডাসের চুক্তি অনুযায়ী নাইকি বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এর লোগো বা এই পুরস্কারকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। আর যদি বাণিজ্যই না হয় টাকা আসবে কোত্থেকে?

মেসির টানা চতুর্থবার জেতা ব্যালন ডি’অরকে কাজে লাগিয়ে গত জানুয়ারিতে এক বিশেষ ধরনের বুট বাজারে এনে অ্যাডিডাস বাজার মাত করে দিয়েছিল। কিন্তু রোনালদো জিতে যাওয়ায় ব্যালন ডি’অর থিমে অনুপ্রাণিত কোনো পণ্য বাজারে ছাড়তে পারবে না নাইকি।

অবশ্য রোনালদো এই ভেবে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন—অর্থই তো সব নয়। একটা সম্মাননা অর্থ নিয়ে আসতে পারলেও অর্থ সম্মান এবং সম্মাননার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। অলিম্পিকের সোনার মেডেলের আর্থিক মূল্য ৫০ হাজার টাকারও কম। কিন্তু তাই বলে একটি অলিম্পিক সোনার পদকের কি সত্যিই কোনো দাম হয়। এ তো অমূল্য!

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone