আবার ফিরছেন ফেলপস
মাইকেল ফেলপস কি আবার ফিরছেন? ২২টি অলিম্পিক সোনাজয়ী সর্বকালের অন্যতম সেরা এই সাঁতারু ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের পরপরই সরে গিয়েছিলেন সাঁতার থেকে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দীর্ঘদিনের কোচ বব বোম্যানের তত্ত্বাবধানে নতুন করে অনুশীলন শুরু করায় তাঁর অনলাইন ডেস্ক : ফেরার জল্পনা ডালপালা মেলেছে বেশ ভালোভাবেই। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাঁতার সংস্থার ডোপ পরীক্ষার তালিকায় নতুন করে নাম অধিভুক্ত করেও ফেলপস নিজের ফেরার জল্পনায় নতুন মাত্রা এনেছেন। তবে কি ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকে আবারও পুলে ঝড় তুলতে আসছেন এই মার্কিন সাঁতারু!
এই তো কিছুদিন আগেই বাল্টিমোরে ফেলপসের অনুশীলন দেখেছেন ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকে ডেনমার্কের হয়ে ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতারে সোনা জেতা শার্লট পিটারসেন। ফেলপসকে অনুশীলনে দেখে শিহরিত পিটারসেন। আবারও অলিম্পিকের পুলে সাঁতরাতে ফেলপস যে নিভৃতে নিজেকে তৈরি করছেন, তার একজন বড় সাক্ষী তিনি। তিনিও মনে করেন অচিরেই হয়তো ফেলপসকে আন্তর্জাতিক সাঁতারে পুলে নামতে দেখা যাবে।
সাধারণত আন্তর্জাতিক কোনো সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অন্তত ৯ মাস আগে আন্তর্জাতিক সাঁতার সংস্থার ডোপ পরীক্ষার তালিকায় নিজের নাম লেখাতে হয়। ফেলপস এই কাজটি করেই নিজের ফেরার কাজটা অর্ধেক এগিয়ে রেখেছেন। এখন সেন্ট পিটার্সবার্গের লর্থ শোর সুইমিং পুলে চলছে তাঁর অনুশীলন। বর্তমানের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অনুশীলন পদ্ধতি যেকোনো বয়স্ক সাঁতারুকেই ঝরঝরে করে তুলতে সক্ষম। রিও অলিম্পিকের সময় ফেলপসের বয়স হবে ৩১। সাধারণ হিসেবে তরুণ হলেও অ্যাথলেটদের বয়স অনুযায়ী হয়তো একটু বেশিই। তবে ফেলপস যদি আত্মবিশ্বাসী হন ঝড় তোলার সামর্থ্য তাঁর আছে, পুলে নামতেই তো পারেন। দেখতে পারেন আরও একটি অলিম্পিকে সাঁতরানোর স্বপ্ন।
অনেকেই মনে করেন, ফেলপস আপাতত ২০১৫ সালে কাজানে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব সাঁতারে পুলে নামার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে রিও অলিম্পিকে নাম লেখাবেন তিনি। আরও রিওতে পুলে নামলে সাঁতার তথা অলিম্পিকের ইতিহাসের আরও সমৃদ্ধ হওয়াটা বোধ হয় সময়েরই ব্যাপার।