বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » লাইফ স্টাইল » মাখন খাচ্ছেন মার্কিনিরা

মাখন খাচ্ছেন মার্কিনিরা 

bangla

নিউজ ডেস্ক : গত চার দশকের যেকোনো সময়ের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা এখন বেশি বেশি মাখন খাচ্ছেন। আমেরিকান বাটার ইনস্টিটিউট সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারদাবার খাওয়া কমানোর চেষ্টা এবং মার্জারিন বা ভেজিটেবল অয়েলের মতো বিকল্পগুলোর ওপর আস্থা রাখতে না পারার কারণেই আমেরিকানদের মাখন খাওয়া বাড়ছে। ২০১২ সালে মার্কিনরা গড়ে মাথাপিছু ৫ দশমিক ৬ পাউন্ড মাখন খেয়েছেন। ১০ বছর আগের তুলনায় এটা প্রায় ২৫ ভাগ বেশি।

আমেরিকান বাটার ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আনুজা মিনার জানিয়েছেন, মার্জারিন এবং এমন অন্য বিকল্পগুলোকে আর স্বাস্থ্যকর হিসেবে ভাবা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসির ‘টেবল’ রেস্তোরাঁর প্রধান পাচক এবং মালিক ফ্রেদেরিক দে প্যু বলছেন, ‘আমি অপ্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি কোনো কিছুর চেয়ে আমাদের কৃষকদের তৈরি করতে দেখেছি এমন কিছুই পছন্দ করব।’

এখন নতুন করে মাখন খাওয়া বাড়লেও তা কিন্তু আগের দিনের মার্কিনদের তুলনায় নেহাতই কম। ১৯৩০-এর দশকে কৃত্রিম ফ্যাট-জাতীয় খাবারদাবারের ব্যাপক প্রসারের আগে একজন মার্কিন প্রতিবছর গড়ে ১৮ পাউন্ড মাখন খেতেন।

মাখনে কোলেস্টেরল-জাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘লেসিথিন’ রয়েছে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদানেও এটা সমৃদ্ধ। আর খুব সহজে ও সরাসরি ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ার উপায় মাখন।

রান্নাবান্নায় জলপাইয়ের তেল জনপ্রিয় হলেও মাখনের ব্যবহারও ভালোই চালু আছে। নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক রন্ধনশিল্প প্রতিষ্ঠান ‘কুলিনারি অ্যান্ড পেস্ট্রি আর্টস’ তাদের খাবারদাবারে বছরে প্রায় ২২ হাজার পাউন্ড মাখন ব্যবহার করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডি আরগোদিজ্জা জানান, পেশাদার রান্নাঘরে বাবুর্চিরা খাবারে স্বাদ বাড়ানো, সুন্দর গন্ধ যুক্ত করতে এবং অ্যাসিডিটি কমানোর জন্যও মাখন ব্যবহার করে থাকেন আর আজকাল বাড়িঘরের বাবুর্চিরা দিন দিন পেশাদার রান্নাবান্নার কৌশল আয়ত্ত করছেন এবং বেশি বেশি এসব প্রয়োগ করছেন।

এদিকে, অন্য অনেক স্থানের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও এখন গরু থেকে পাওয়া মাখনের পাশাপাশি ছাগলের মাখনের ব্যবহারও বাড়ছে। এমনকি হাঁসের চর্বি ও মান্তেসার মতো মাখনের ব্যবহার নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone