বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে 

1677399671_13

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাঁক থাকলে, নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে, সে নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সে নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।’

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বস্তিদায়ক হিসেবে এবং সহজভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে মোটাদাগে বোঝাপড়া থাকে তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। আমরা সেই আস্থা এখনও রেখে যাচ্ছি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়ার গ্যাপ থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার সহযোগিতায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কাছে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টা করবো।

এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সকলের সহযোগিতা নিয়ে বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নির্বাচনী প্রশাসন ছাড়া নিবার্চন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ভালো দিক হলো নিরাপত্তা। ভোটের নিরাপত্তা যেমন, আমার ভোট আমি দেব অন্য কেউ যাতে কেড়ে নিয়ে সিল মেরে দিতে না পারে। কারণ— ভোটাররা না গেলে বা ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না। কিন্তু আমাদের বড় একটা অংশ দাঁড়িয়ে গেলেন ইভিএমের বিপক্ষে। তারা বলতে লাগলেন, যে এটা ভোট চুরির মেশিন।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ ও প্রশাসনের আন্তররিকতা দরকার। ভাটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন সেটার পরিবেশ করার দায়িত্ব কিন্তু জেলা প্রশাসনের পুলিশ প্রশাসনের। আমাদেরও প্রচেষ্টা আছে যে নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ইভিএম এখন অনেকটাই আস্থায় এসে গেছে। আগে যে অনাস্থা ছিল গালমন্দ করা হতো এখন অতটা গালমন্দ করা হয় না। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনের অথবা আদালতে প্রমাণ নিয়ে দাখিল করতে পারেননি যে— এইভাবে কারচুপি হযেছে।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের সেমিনার হল রুমে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফর উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ মহাপরিদর্শক আব্দুল বাতেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone