সিএএ বাতিলের দাবি তুলে অমিত শাহকে কংগ্রেসের দ্বিতীয় চিঠি
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফের চিঠি দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। এবার তার দাবি, বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের মতোই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিল করুক নরেন্দ্র মোদির সরকার।
সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই ‘ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক নীতি এবং ভাবধারার পরিপন্থী’ সিএএ বাতিলের জন্য শাহ’র কাছে দাবি জানিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সংসদ সদস্য।
ধর্মের কারণে পাকিস্তানে পদে পদে নির্যাতিত হওয়ারা ভারতে এসেও হেনস্তার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে মঙ্গলবার শাহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন অধীর।
বিজ্ঞাপন
তাতে তিনি লেখেন, পাস হওয়া আইনে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া এতটাই ধীর যে বিড়ম্বনার মুখে পড়ে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
কংগ্রেস নেতা অধীর ওই চিঠিতে পরোক্ষভাবে বিতর্কিত সিএএ কার্যকরের দাবিই তুলেছেন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, স্পর্শকাতর ওই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্বিতীয় চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারের চিঠির প্রসঙ্গ তুলে শাহকে অধীর লিখেছেন, ‘গতকাল আমি ভারতে ফিরে আসা পাকিস্তানি হিন্দুদের করুণ অবস্থার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে আসা বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি হিন্দুকে সে দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল, কারণ তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি। ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী বা জাতীয়তা-নির্বিশেষে আমরা সব সময়ই প্রান্তিক ও অবহেলিত মানুষের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলেছি। ’
সংসদে পাস হলেও সিএএ কার্যকর কার্যত অসম্ভব মন্তব্য করে ওই চিঠিতে অধীর বলেন, “দু’বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, আপনি সিএএ নামক অসুস্থ চিন্তাসম্পন্ন আইন পাস করেছেন। তবুও আপনি অন্তর্নিহিত এবং প্রকাশ্য অসাংবিধানিকতার কারণে এটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হননি। …এই কঠোর আইনটি কার্যকর করা যায় না, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করেই তৈরি। “
এই ক্যাটাগরীর অন্যান্য সংবাদ সমূহঃ