বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বিদেশি চ্যানেলগুলো সরকার বন্ধ করেনি : তথ্যমন্ত্রী

বিদেশি চ্যানেলগুলো সরকার বন্ধ করেনি : তথ্যমন্ত্রী 

165153kalerkantho_jpg

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে সমস্ত চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে আসে, সেগুলো সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আইন মানা বিদেশি চ্যানেলের যেমন দায়িত্ব একইসাথে যারা বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে সেই অপারেটরদেরও দায়িত্ব। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলক জনগণকে বিক্ষুদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত আসা চ্যানেল বন্ধ রাখে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে যেহেতু তারা ফিড দিচ্ছে না তাই এই চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশে অপারেটর তারাই সম্প্রচার বন্ধ করেছে।

আজ শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসী কমিউনিটি-সংযুক্ত আরব আমিরাত এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ ছালাম। বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আবদুল মোতালেব, জামসেদুল আলম, শফিউল আলম, সেলিম আনছারি, জমির হোসেন জমির প্রমুখ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত, এখানে যেকোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু অবশ্যই সেটি বাংলাদেশের আইন মেনে করতে হবে। বাংলাদেশের আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। একই আইন ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতে আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশি চ্যানেল গুলোকে সম্প্রচার করতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে আমাদের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করছিল। আমরা বহুবার তাগাদা দিয়েছি, শেষ পর্যন্ত আমরা বিদেশি চ্যানেলের যারা এখানে প্রতিনিধি ক্যাবল অপারেটরদের সাথে, টেলিভিশন মালিকদের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পহেলা অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যকর করব। সে অনুযায়ী গতকাল থেকে আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপনসহ চালানোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার মতো ইনভেস্টমেন্ট প্রতিবছর হয় না। সেটি থেকে দেশ বঞ্চিত হয়, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত হয়, আমাদের সাংবাদিকরাও বঞ্চিত হয়। সেই কারণে আমরা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি সেটিকে টিলিভিশন মালিকদের সংগঠন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরামসহ সকলে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমরা আশা করবো বিদেশি চ্যানেলগুলো খুব সহসা বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে বাংলাদেশে ফিড পাঠাবে। তাহলে এখানে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। বিবিসি, সিএনএনসহ বহু চ্যানেল আছে যেগুলো বিজ্ঞাপনবিহীনভাবে বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য আমরা নীতিমালা করছি, নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে, সেই নীতিমালা যখন জারি হবে তখন সেই নীতিমালার যারা ব্যত্যয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে প্রবাসী কমিউনিটি-সংযুক্ত আরব আমিরাত আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান আমলে বিদেশ যাওয়াতো দূরের কথা, একটি পাসপোর্ট পাওয়া অনেক দূরুহ ব্যাপার ছিল। বিদেশ যেতে হলে প্রথমে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে করাচি বা লাহোরে যেতে হতো, সেখান থেকে বিদেশের ফ্লাইট হতো, ঢাকা থেকে বিদেশের ফ্লাইট ছিল না। সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে এককোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে আমাদের পক্ষে কখনো এভাবে বিদেশ যাওয়া সম্ভব হতো না।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone