ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা
অনলাইন ডেস্ক : সেনা সমর্থিত মিশরের অন্তর্বর্তী সরকার, মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারকে এখন দলটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও ক্ষমতা দিল।
গত মঙ্গলবার পুলিশের প্রধান কার্যলয়ে বোমা হামলায় অন্তত ১৩ জন মানুষ নিহত হওয়ার পর সরকার এই ঘোষণা দিল।
এদিকে মুসলিম ব্রাদার হুড এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে এটি মিশরের অবৈধ সরকারের একটি অর্থহীন সিদ্ধান্ত।
মিশরের উপপ্রধানমন্ত্রী হুসাম মুহাম্মাদ ঈসা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন মন্ত্রীসভা মুসলিম ব্রাদারহুড দল কে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে এমন এক সময় এই ঘোষণা এলো যার একদিন আগে দেশটির মানসুরা শহরে পুলিশের প্রধান কার্যলয়ে বোমা হামলা হয়।
সে হামলায় অন্তত ১৩ জন মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন আরও অনেকে। সরকার ঐ হামলার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করছে।
মি: ঈসা ঐ হামলাকে জঘন্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাহায্য করে এমন যেকোনো ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি সেসময় মৃতের সংখ্যা ১৬ জন উল্লেখ করে বলেন আর একশ ত্রিশ জনের বেশি আহত হয়েছে।
মিশরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে এর আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
পুলিশ ও সেনা অভিযানে দলটির হাজার হাজার সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছে।
তবে মুসলিম ব্রাদার হুডের একজন নির্বাসিত নেতা হুসিয়ারী দিয়ে বলেছেন তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণার এই সিদ্ধান্ত দলটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও একধাপ ক্ষমতা পাইয়ে দিল।
দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীও অবশ্য তেমনটাই বলেছেন।
এর আগে মানসুরা শহরে এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করতে থাকলে প্রধান মন্ত্রী হাজিম বেবলাওয়ি নিন্দা জানিয়ে বলেন নি:সন্দেহে এটা একটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
তিনি বলেন গতকাল যা ঘটেছে তা একটা দেশের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যা বর্ণনা করার মত নয়।
এদিকে মুসলিম ব্রাদার হুড এই হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং তারাও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।