বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জানা-অজানা » হার্ট অ্যাটাক: কী, কেন হয়, এর প্রতিকার

হার্ট অ্যাটাক: কী, কেন হয়, এর প্রতিকার 

imag-2002010505

হার্ট অ্যাটাক মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ প্রজন্মও এমন হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন।0 রাতে ঘুমোনোর ফলে মানুষের শরীরে অক্সিজেন, রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন আসে। যখন আমাদের হৃদপিণ্ডে বা হার্টে রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। আমাদের শরীরের যে ধমনি যার মধ্য দিয়ে রক্ত হৃদপিণ্ডে পৌঁছে সেই ধমনি যদি রক্ত চলাচলে বাধা প্রাপ্ত হয় তখন হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক কী: কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট তখনই হয় যখন হার্ট রক্ত সঞ্চালন করা বন্ধ করে দেয়। আচমকা কারোর হার্ট যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয় ও সেই ব্যক্তি নিঃশ্বাস নিতে না পারে তাহলে তা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে হয়।

বাথরুমে হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী ও কেন হয় : সকালে পেট পুরোপুরি পরিষ্কার করার জন্য বাথারুমে চাপ প্রয়োগ করি। অনেকেই আছেন যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। মেডিকেল এর ভাষায় একে বলে ভালসালভা মানেউবের ( Valsalva Maneuver)। মলত্যাগের এই চাপটি আমাদের হৃদয়ের ধমনীতে আরও চাপ সৃষ্টি করে। এটি হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অনেক কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকলে, অতিরিক্ত তেল এবং চর্বিযুক্ত খাবার খেলে, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, অতিরিক্ত ওজন থাকলে, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধুমপান এবং শারীরিক পরিশ্রম না করা,বংশগত এবং অতিরিক্ত কোকেন জাতীয় ওষুধ খাওয়া এই রোগের কারণ হতে পারে।যারা উচ্চরক্ত চাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে গোসলের সময় পানির তাপমাত্রা মেপে গোসল করা উচিত। গোসলেনর সময় হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে সিম্পেথেটিক টোন বেড়ে যায় ফলে স্কিন বা ত্বকে এর তাপমাত্রা কমে যায়। ফলশ্রুতিতে রক্তচাপ বেড়ে যায়।চিকিৎসকরা বলেন, যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের কুসুম গরম পানিতে গোসল করা উচিত। মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই বিছানা থেকে তাড়াহুড়ো করে বাথরুমে যাওয়া যাবে না।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়: ধুমপান না করা, মাদক থেকে দূরে থাকা, দুশ্চিন্তা না করা, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন, কলেস্টেরন নিয়ন্ত্রন, চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া, শাকসবজি ও ফল বেশি খাওয়া, দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা, প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা এবং অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা। টয়লেট ব্যবহারের সময় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। এইভাবে আপনি হার্ট বা অ্যাটাক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এড়াতে পারবেন। গোসলের সময় পানির তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য করুন। প্রথমে পায়ের তলা ভিজিয়ে রাখুন।এরপর আস্তে আস্তে উপর দিকে কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে। তারপর মুখে পানি দিতে হবে। এরপরে মাথায় হালকা পানি ঢালুন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং মাইগ্রেন আছে তাদের অবশ্যই এই পদ্ধতি পালন করা উচিত। গোসলের সময় দীর্ঘক্ষণ বাথটাবে থাকেন তবে এটি আপনার ধমনীতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুম থেকে উঠে ৩০ সেকেন্ড বিছানার মধ্যে বসে থাকুন। এরপর ৩০ সেকেন্ড খাটে বসে মাটিতে পা দিয়ে বসে থাকুন। এতে শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হবে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকবে না।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone